শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের থানাপাড়ার বাসিন্দা মিতা দত্ত বলেন, বৃষ্টিতে আমাদের সবক’টি ঘরে জল ঢুকে যায়। নালা উপচে জল আসায় সমস্যায় পড়ি। বাড়ির উঠানেও জল দাঁড়িয়ে যায়। এটা শুধু এ বছর নয়, প্রতি বছরই এই সমস্যা হয়। বাদল মিস্ত্রি নামে আরএক বাসিন্দা বলেন, প্রতি বছর আমদের এখানে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জল জমে যায়। এদিন ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তাই জলের তলায় চলে গিয়েছে। এমনকী দোকানেও জল ঢুকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। নালার গভীর করা না হলে এই সমস্যা মিটবে না।
সিপিএম নেতা তারাপদ বর্মন বলেন, শহরে অপরিকল্পিতভাবে নালা তৈরি করা হয়েছে। একটি নালা যেখানে শেষ হয়েছে, তারপর আবার সেখান থেকে একটি নতুন নালা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও নালা দিয়েই ঠিকঠাক জল যায় না। অধিকাংশ নালাতেই জল দাঁড়িয়ে থাকে। বর্ষায় ওসব নালা ভরে বাড়িতে জল ঢুকে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই আমরা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে শহরের সুষ্ঠ জল নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে ডেপুটেশন দিয়েছি।
দিনহাটা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, শহরের জল পুরসভা এলাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জায়গা না থাকায় কিছু এলাকা জলমগ্ন হচ্ছে। নিকাশি নালার মাস্টার প্ল্যান করা হলে সমস্যা মিটবে। আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি।
এদিনের বৃষ্টিতে শহরের গোপালনগরের দক্ষিণাংশ, সংহতি ময়দান, থানাপাড়া, শীতলাবাড়ি মোড়, দিনহাটা গার্লসস্কুল সংলগ্ন পশু চিকিৎসা কেন্দ্র জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টির জেরে শহরের স্টেশন সংলগ্ন রাস্তা ও আশপাশের বিভিন্ন রাস্তায় জল দুপুর পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে থাকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের জমা জল বের করার জন্য নিকাশি নালা নিয়ে মাস্টার প্ল্যান না থাকায় তাঁদের এমন সমস্যায় পড়তে হল। বৃষ্টিতে থানাপাড়া চৌপথী থেকে শীতলাবাড়ি মোড় পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারের বহু বাড়িতে নালার বর্জ্যভর্তি জল ঢুকে যায়। পুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের জল নিকাশির জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকাতেই এই দুর্ভোগ।