শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
ময়নাগুড়ি নতুন বাজারের রেশন ডিলার গোপাল পাল বলেন, গত মাসে আমাদের যা বরাদ্দ এসেছিল তাতে অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার গ্রাহকরা বিনামূল্যে ২০ প্যাকেট আটা, ১৫ কেজি চাল এবং এক কেজি মসুর ডাল পেয়েছিলেন। পাশাপাশি পরিবার পিছু সাড়ে ১৩ টাকা কেজি হিসেবে চিনি দেওয়া হয়েছিল। অগ্রাধিকার প্রাপ্ত পরিবার এবং বিশেষ পরিবার অর্থাৎ পিএইচএইচ ও এসপিএইচএইচ সাত কেজি করে চাল এবং এক কেজি করে ডাল পেয়েছিল। যদিও ১৫ জুলাই থেকে যে রেশন দেওয়া হবে তার বরাদ্দ আসেনি। তবে মনে হচ্ছে একই নিয়মানুসারে হবে।
ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি ব্লক খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক সুপ্রকাশ মণ্ডল বলেন, ডাল দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হওয়ার কথা নয়। কারণ, কম্পিউটারে রেশন কার্ড দেখালেই স্লিপ বের হয়ে আসবে। সদস্য সংখ্যা যতই হোক কোনও পরিবারই এক কেজির বেশি ডাল পাবে না। কোনও গ্রাহক যদি মনে করে দু’টি রেশন কার্ড নিয়ে এক কেজি ডাল আনব, পরে বাকি কার্ড দেখিয়ে আরও এক কেজি ডাল নিতে লাইনে দাঁড়াব, তা সম্ভব হবে না। আমরা ১৫ জুলাই থেকে বাড়তি নজরদারি চালাব। গ্রাহকদের সুবিধার জন্য ডালের বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। এর আগে যেমন মসুর ডাল দেওয়া হয়েছিল, তেমন নিয়মেই মুগডাল দেওয়া হবে। গ্রহকদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মাস্ক পরে রেশন তুলতে হবে।
প্রসঙ্গত, আগেরবার ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি ব্লকের বেশকিছু জায়গায় রেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ডিলারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। রেশনে নিম্নমানের চাল দেওয়ার ও কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে অনেক জায়গায় বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছিল। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই এবার বাড়তি নজরদারি চালানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। খাদ্যদপ্তর জানিয়েছে, ময়নাগুড়ি ব্লকে ৬১ জন ও ধূপগুড়ি ব্লকে ১১০ জন রেশন ডিলার রয়েছেন। ময়নাগুড়িতে ৬১ জন রেশন ডিলারের অধীনে ৩ লক্ষ ৭০ হাজারের অধিক গ্রাহক রয়েছে। ধূপগুড়িতেও সাড়ে চার লক্ষের বেশি গ্রাহক রয়েছে।