শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তার বেহাল দশার কারণে রসাখোয়া থেকে সোলপাড়া ও সাহাপুর পর্যন্ত গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। রায়গঞ্জ থেকে ১৪টি গাড়ি নিত্যদিন করণদিঘি ব্লকের দোমোহনা, বোতল বাড়ি, রসাখোয়া হয়ে সোলপাড়া ও সাহাপুর পর্যন্ত যাতায়াত করত। কিন্তু ৭ জুন থেকে গন্তব্যস্থল পর্যন্ত না গিয়ে ওই গাড়িগুলি রসাখোয়া থেকেই ফেরত চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ইসলামপুর থেকে সাহাপুর, সোলপাড়া চলাচলকারী ১০টি বাসও চালানো সম্ভব হচ্ছে না বেহাল রাস্তার কারণে। গাড়িগুলি ইসলামপুর থেকে রসাখোয়া, সোলপাড়া না এসে সাহাপুর থেকে ফিরে যাচ্ছে।
এবিষয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন এবং পূর্তদপ্তরকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক। তিনি বলেন, প্রশাসনিক সহায়তা পেলে আমরা এই করোনা আবহে সমস্ত রুটেই সুষ্ঠুভাবে যাত্রীবাহী বাস চালানোর ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। কিন্তু খারাপ রাস্তা হওয়ার জন্য মালিকদের আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই সব রুটে আমরা সুষ্ঠুভাবে বাস চালাতে চাই। অবিলম্বে এব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক প্রশাসন। তা না হলে আগামীতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে।
রায়গঞ্জ শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার ও ইসলামপুর থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাহাপুর এবং সোলপাড়া। এখান থেকে নিত্যদিন কয়েক হাজার অফিস যাত্রী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আসা যাওয়া করেন। এমতাবস্তায় তাঁরা ব্যাপক বিপাকে পড়েছেন। বাস থেকে নেমে ভ্যান, ভুটভুটি ইত্যাদিতে চেপে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে তাঁরা আসা যাওয়া করতে বাধ্য হচ্ছেন।
রায়গঞ্জ শহর থেকে নিত্যদিন যাতায়াতকারী অফিস যাত্রী জর্জ পাল, কালাচাঁদ পাল, অজয় সরকাররা বলেন, এই রুটের রাস্তা সারা বছরই কমবেশি খারাপ থাকে। তবে প্রতি বছরই বর্ষার সময় তা চরম আকার নেয়। তখন অফিসে আসা যাওয়া করাই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। যদিও এব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা পূর্ত দপ্তরের (সড়ক) কার্যনির্বাহী বাস্তুকার চন্দ্রমোহন ভুঁইয়া বলেন, স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে আমার বিস্তারিত কথা হয়েছে। ওই এলাকার রাস্তা মেরামতের জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডারের কাজ হয়েছে। এজেন্সি বাছাইয়ের কাজ চলছে।