শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
গঙ্গারামপুর ব্লকের বিএমওএইচ কৌশিক আদিত্য বলেন, মালদহ মেডিক্যাল থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা স্বাস্থ্য কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছি। সাফাই কর্মীকে বালুরঘাটের সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। বাকি দু’জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ওই স্বাস্থ কেন্দ্রের ১০ জন স্বাস্থ্য কর্মীর টেস্ট রেজাল্ট এখনও আসেনি। দ্রুত তা চলে আসবে। ওই তিনজনের সংস্পর্শে আসা সহকর্মীদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। আমরা হাসপাতাল স্যানিটাইজ করে ফেলেছি। হাসপাতালের পরিষেবা চালু রয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা সামনে থেকে করোনা আক্রান্তদের পরিষেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে তাঁদের দেহে কোনও লক্ষ্মণ ছিল না। আমরা বাকি কর্মীদের উপরও নজর রাখছি।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর চালুন গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে শুরু করে ফিভার ক্লিনিক ও গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন এলাকায় সোয়াব সংগ্রহের কাজ করেছে। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেও চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। তা থেকেই সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আক্রান্ত ওই তিনজন স্বাস্থ্য কর্মীদের দেহে রোগের কোনও বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি। তাঁরা যথারীতি কাজও করেছেন, বাইরে ঘোরাফেরাও করেছেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যাক্তিদের তালিকা তৈরি করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। গঙ্গারামপুর চালুন গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা অবশ্য বন্ধ করা হয়নি। হাসপাতাল চত্বর ইতিমধ্যেই স্যানিটাইজ করে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কাজ চলছে।
গঙ্গারামপুর চালুন গ্রামীণ হাসপাতালের আক্রান্ত চিকিৎসক বলেন, তিনদিন আগে পর্যন্ত টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে পিপিই পরেই সোয়াব সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত ছিলাম। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে ফিভার ক্লিনিক, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে। যথেষ্ট সচেতন থাকা ও নিরাপত্তা বিধি মানার পরেও আক্রান্ত হলাম। আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারব । বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছি।