শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
এবিষয়ে উত্তরবঙ্গ আনারস চাষি সংগঠনের সম্পাদক অরুণ মণ্ডল বলেন, বিধাননগর ও চোপড়া ব্লকে এবার বিপুল পরিমাণ আনারস উৎপাদন হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি যদি হিমঘরে আনারস মজুত রাখার ব্যবস্থা করা যায়। তাতে চাষিদের কিছুটা উপকার হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ফল প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলি যদি আনারস কিনতে এগিয়ে আসে, তাহলে সমস্যা কিছুটা কমতে পারে। সম্প্রতি ভারত-নেপাল সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ওখানেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আনারস রপ্তানি হয়। এতে সমস্যা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সবার উপরে দেশ। আনারস বিক্রি না হলেও আমরা মানিয়ে নেব।
ইসলামপুরের এক আনারস ব্যবসায়ী প্রদীপকুমার সিংহ বলেন, এবছর লকডাউনের সময় থেকেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এরপর ভারত নেপালের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ফলে নেপাল অতিরিক্ত কর চাপাচ্ছে। যার ফলে ভারতের গাড়ি সেখানে ঢুকলেই অতিরিক্ত টাকা কর দিতে হয়। ফলে আমাদের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে আনারস চাষের উপর প্রভাব পড়েছে। শিলিগুড়ি ও ইসলামপুর মহকুমার বহু চাষি আনারস চাষের উপর নির্ভরশীল। টানা লকডাউনে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় উৎপাদিত আনারস বাজারজাত করতে চাষিরা সমস্যায় পড়েছিলেন। উত্তরবঙ্গে এই ফসল চাষ ও বিক্রির সঙ্গে লক্ষাধিক মানুষ জড়িত। এখন গাড়ি চললেও ভারত-নেপাল সম্পর্ক আনারস রপ্তানির উপর প্রভাব ফেলেছে। চাষিদের দাবি, প্রতি বছর এই সময় উৎপাদিত আনারস পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহর ছাড়াও দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ বেশকিছু বড় শহরেও পাড়ি দেয়। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে আনারস রপ্তানি করা হয় পার্শ্ববর্তী নেপালের তরাই অঞ্চলে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তা কার্যত বন্ধ ছিল। ফলে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে গিয়ে দাম মিলছে না চাষিদের। বিক্রি না হওয়ায় বিধাননগরে বিভিন্ন খেত ও দোকানে পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রচুর আনারস। স্থানীয় স্তরে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি থাকায় চাষিদের পর্যাপ্ত দাম মিলছে না। কৃষক ও স্থানীয় বিক্রেতারা জানান, বাইরে আনারস রপ্তানি প্রায় বন্ধ। যেটুকু বিক্রি হচ্ছে তা স্থানীয় বাজারেই হচ্ছে। তবে এই যৎসামান্য বিক্রি করে লক্ষ্মীলাভ তো দূরের কথা, খরচের টাকাও উঠছে না।