শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সেফ্টি ইঞ্জিনিয়ার বাপি বিশ্বাস বলেন, রাতে ব্যাপক বৃষ্টির হয়েছে। যার জেরে ডাইভারশনের এক মিটার উপর দিয়ে ঝোরার জল বয়ে যায়। ওই ডাইভারশনটি ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য মজবুতভাবে করা হয়েছিল। কিন্তু জলের স্রোতে হিউমপাইপ সরে যাওয়াতেই এমন বিপত্তি ঘটে। আমরা রাত থেকেই কাজ শুরু করি। নতুন করে পাইপ বসিয়ে তার উপর ঢালাই করা হয়েছে। তা শুকানোর পর রাস্তাটি খুলে দেওয়া হবে। তবে এখনই ভারী যানবাহন যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। আপাতত ছোট গাড়ি পারাপার হবে।
বাগডোগরা ট্রাফিক পুলিসের ওসি বিনয় সিনচুরি বলেন, সকাল থেকে ওই রুটের যানবাহনগুলি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ির দিক থেকে যেসব গাড়ি এসেছে, সেগুলিকে মেডিক্যাল মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে কালকাতা থেকে যেসব গাড়ি আসছে, সেগুলিকে ঘোষপুকুর থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সুবজ সঙ্কেত না দেওয়া পর্যন্ত এভাবেই যানবাহন চালানো হবে।
এদিকে ডাইভারশন সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় রাত থেকে দক্ষিণ বাগডোগরাতে বহু পণ্যবাহী লরি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গুরমিল সিং নামে এক লরিচালক বলেন, সেতু ভেঙে যাওয়ায় বুধবার রাত ৯টা থেকে আটকে আছি। আশেপাশে কোনও খাবারের দোকান নেই। আমার মতো অনেকরই সমস্যা হচ্ছে। ফুলবাড়ি বাইপাসটি ভাঙাচোরা। পণ্য থাকায় গাড়ির ওজন রয়েছে। তাই ভাঙা রাস্তায় দুর্ঘটনার ভয়ে যাচ্ছি না।
বুধবার সন্ধ্যা রাত থেকে ভারী বৃষ্টিতে জাতীয় সড়কের ওই ডাইভারশন সেতুর হিউমপাইপ আচমকা সরে যায়। ইঞ্জিনিয়াররা রাত থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে ডাইভারশন সেতুটি মেরামতের কাজে হাত দেন। শিলিগুড়ি শহরের থেকে আসা গাড়িগুলি মেডিক্যাল মোড় থেকে রানিডাঙা হয়ে ফুলবাড়ি-ঘোষপুকুর বাইপাস সড়কের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের দিক থেকে আসা যানবাহন ঘোষপুকুর থেকে ফুলবাড়ি হয়ে এশিয়ান হাইওয়ে-২’তে তুলে দেওয়া হয়। এরফলে মেডিক্যাল মোড় থেকে ঘোষপুকুর পর্যন্ত গাড়ি চালকদের ১৭ কিমি পরিবর্তে প্রায় ২৭ কিমি ঘুরপথে যেতে হচ্ছে।