সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
ইসলামপুরে একটি কলেজ রয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের বক্তব্য, একটি মাত্র কলেজ হওয়ায় এখানে পড়ুয়াদের বিপুল চাপ রয়েছে। প্রতিবছরই নির্দিষ্ট আসনের থেকে প্রায় তিনগুণ বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়। এতে পঠনপাঠন ঠিকমতো হচ্ছে না। পরীক্ষা গ্রহণ থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। তাই বিগত কয়েক বছর ধরে এলাকায় একটি মহিলা কলেজের দাবি জোরাল হয়ে উঠেছে। এলাকার শিক্ষামহলের দাবি, একটি মহিলা কলেজ হলে এই কলেজেরর উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমে যাবে এবং মেয়েদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ আরও বাড়বে।
ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে সিপিএমের প্রার্থী স্বপন গুহনিয়োগী বলেন, ইসলামপুরে একটি মহিলা কলেজের দাবি আমরা বহু দিন থেকেই করে আসছি। রাজ্যের শাসক দল শিক্ষার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। মহিলা কলেজ না থাকায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এখানকার মেয়েরা পিছিয়ে পড়ছে।
কংগ্রেসের প্রার্থী মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, যে একটি মাত্র কলেজ রয়েছে, সেখানে নানা ধরনের অভিযোগ আছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কলেজে পড়াশুনার মান নেমে গিয়েছে। মহিলা কলেজ হলে এখানকার মেয়েরা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এগতে পারবে। শাসক দল এবিষয়ে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা নির্বাচনের প্রচারে এবিষয়ে বলছি।
বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, শিক্ষার দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে আছে ইসলামপুর। একটি কলেজ আছে কিন্তু তাতে সব বিষয়ে পড়াশুনার সুযোগ নেই। উচ্চশিক্ষার জন্য এখানকার ছেলেমেয়েদের বাইরে যেতে হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য য়ে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা কোনও রাজনৈতিক দলই এখন পর্যন্ত উচ্চশিক্ষার প্রসারের বিষয়ে ভাবেনি। মানুষ এই বিষয়ে বর্তমান শাসক দলের ওপরে ক্ষুব্ধ।
তৃণমূলের প্রার্থী আবদুল করিম চৌধুরি বলেন, ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার জন্য অবশ্যই আরেকটি কলেজ হলে ভালো হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে গুরুত্ব দিয়েছেন। আইটিআই, পলিটেকনিক কলেজ মেডিক্যাল কলেজ করেছেন। ধাপে ধাপে উন্নয়ন হবে।
ইসলামপুর কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম বর্ষে সমস্ত বিভাগ মিলে প্রায় ১৮০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়ার পরিকাঠামো আছে। কিন্তু গত বছর সেখানে প্রায় ৪৫০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। এখানে ভর্তি হতে না পারলে তাদের অন্য কোথাও পড়াশুনার সুযোগ নেই বলেই সকলকে ভর্তি নেওয়া হয়। পরিকাঠামোর চাইতে বেশি পড়ুয়া ভর্তি নেওয়ার কারণে অনেক ধরনের সমস্য হয়।
চোপড়া,ইসলামপুর,গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া ও করণদিঘি মোট পাঁচটি ব্লক রয়েছে ইসলামপুর মহকুমায়। কয়েকবছর আগে চোপড়া কলেজ হয়েছে। ডালখোলাতেও একটি কলেজ আছে। চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, ইসলামপুর ও চোপড়া ব্লকের ছাত্রছাত্রীদের সিংহভাগ ইসলামপুর কলেজেই ভর্তি হয়। পরীক্ষা গ্রহণের সময় বাড়তি ছাত্রছাত্রীদের সামাল দিতে অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করে পরীক্ষগ্রহণ হয়।
যাদের আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে তারা বাইরে গিয়ে কলেজে পড়াশুনা করে। বাইরে পড়াশুনার ক্ষেত্রে গ্রামের মেয়েদের কিছু সমস্যা রয়েছে। দরিদ্র পরিবারের কিংবা সাধারণ রেজাল্ট করা ছাত্রছাত্রীদের বাইরে পড়তে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্থানীয়দের দাবি ইসলামপুরে মহিলা কলেজের।