সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজাভাতখাওয়ার পাশে বক্সার পানিঝরার জঙ্গলে পিন্টুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে পুলিস পিন্টুর মোবাইল ফোন নম্বরের কললিস্ট ধরে মঙ্গলবার রাতেই প্রমোদনগর এলাকা থেকে মহম্মদ শাহনাজ ওরফে পাপ্পু, সারজাদ হোসেন ও মণীশ গুপ্তা নামে তার তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
মৃত যুবকের দাদা সঞ্জীব দাস পুলিসকে জানান, তাঁর ভাইয়ের মোবাইল ফোনটি শাহনাজের কাছেই ছিল। গ্রেপ্তার হওয়ার সময় শাহনাজ পুলিসকে জানায়, সে পিন্টুর কাছে টাকা পেত। সেজন্যই তার মোবাইল ফোনটি সে আটকে রেখেছিল। যদিও বৃহস্পতিবারও মৃত যুবকের দাদা সঞ্জীবাবু ও তার মা সাবিত্রীদেবী জানিয়েছেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা। ধৃতরাই পিন্টুর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে কখনও দু’হাজার কখনও চার হাজার টাকা করে ধার নিত। জেলার পুলিস সুপার সুনীল কুমার যাদব বলেন, পিন্টু দাসের খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে তুলে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। টাকার বিষয়টিও তদন্তে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ধৃতরা যাতে ছাড়া না পায় এবং ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিস যাতে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেয় তার জন্য আগামীকাল শনিবার এলাকাবাসী পুলিসের কাছে ডেপুটেশন দেবে। এদিকে, বধুবার পাটকাপাড়া চা বাগানে উদ্ধার হওয়া গলাকাটা যুবকের পরিচয় উদ্ধার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম খোকন চৌধুরী(৩০)। পেশায় ট্রাক চালক ওই যুবকের বাড়ি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেরই প্রমোদনগরের পাশের সঞ্জয় কলোনিতে। বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসাতালে মৃতের দেহের ট্যাটু, পোশাক ও জুতো দেখে বাড়ির লোকজন তাকে শনাক্ত করে। পুলিস মৃতের মাথার হদিশ পেতে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও কেউ ধরা পড়েনি।