কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
পিটিআই মুখপাত্রের ওই বয়ান প্রকাশ্যে আসতেই পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জি ডি বক্সি। তিনি দাবি করেন, ইসলামাবাদ বরাবরই জঙ্গিদের মদত দিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে পাক সেনা ক্যাম্পের ঢিলছোঁড়া দূরত্বে আল কায়েদার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেনের গা-ঢাকা দিয়ে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তা বলেন, ‘ওরা দাবি করেছিল, তোরা-বোরা গুহায় রয়েছে লাদেন। আদতে সে পাকিস্তানেরই তৈরি করে দেওয়া বাংলোয় স্ত্রীদের নিয়ে ঘাপটি মেরে ছিল।’ শুধু পাকিস্তানের শাসক দলই নয়, মোহাজিরদের দল এমকিউএম-ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মুত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট (এমকিউএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা নেতা আলতাফ হুসেন। এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সবরকমের সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হল পাকিস্তান। এই বিষয়টি নিয়ে গত বেশ কয়েকবছর ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হয়েছি আমি। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত লাভ কিছুই হয়নি।’
এদিকে, ক্রমশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তীব্র হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। দেশের মাটি থেকে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে। জঙ্গি সংগঠনগুলিকে অর্থসাহায্যের অভিযোগে আজও পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখে দিয়েছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। তার পরেও পাক সরকারের চরিত্র এতটুকু বদলায়নি। এখনও তারা ওয়াশিংটন ডিসি-কে ‘মিথ্যে কথা’ বলে নিজের স্বার্থে ‘ব্যবহার’ করে চলেছে বলেই দাবি করলেন মার্কিন ভূরাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ আর্থার হারমান। ইসলামাবাদের এই ফাঁদে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান, উভয় পক্ষই পা দিয়েছে বলে দাবি করেন আর্থার।
২০০২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য পাকিস্তানকে দিয়েছে আমেরিকা। এর মধ্যে শুধু সন্ত্রাসবাদ দমনেই দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু, বাস্তবে ওই অর্থ দিয়ে উল্টো কাজটাই করে গিয়েছে পাক সরকার। ফলে এবার পাকিস্তানের সঙ্গে এই ‘বিষাক্ত সম্পর্ক’ ছিন্ন করার সময় এসেছে বলেই দাবি করেছেন ওই মার্কিন বিশেষজ্ঞ।
তাঁর কথায়, ‘আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রতি আমাদের নীতিগুলিরও পর্যালোচনা করার সময় এসেছে। যারা আমাদের শত্রুদের সহযোগিতা করে, পরমাণু অস্ত্রের ফর্মুলা নিয়ে ছেলেখেলা করে, আমাদের বন্ধুত্বের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাদের সাহায্য করে যাওয়া আমাদের উচিত কি না তা ভেবে দেখা উচিত।’