সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
সৌদির সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সময় ভোর ৪টে নাগাদ দেশের পূর্ব প্রান্তে আরামকো’র আবকায়েক এবং খুরাইস শোধনাগারের কর্মীরা ড্রোন হামলার ফলে লাগা আগুন নেভাতে তৎপর হন।’ বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সৌদি সরকার। আপাতত ওই দুই শোধনাগারে নিরাপত্তা বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদেরও সেখানে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে ২০০৬ সালে এই আবকায়েক শোধনাগারে হামলার ছক কষেছিল আল কায়েদা। দুই আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেও, সফল হয়নি। ঘটনায় দুই জঙ্গি ও দুই নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হলেও বড় অঘটন ঘটেনি।
এদিকে, হুথি বিদ্রোহীদের টিভি চ্যানেল আল-মাসিরাহের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব সৌদি আরবের আবকায়েক এবং খুরাইস শোধনাগারে অন্তত ১০টি স্বয়ংক্রিয় ড্রোন নিয়ে ‘বড় অভিযান’ চালানো হয়। বিদ্রোহীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ইয়েমেনের হুথি অধ্যুষিত এলাকায় সৌদির বোমারু বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতেই আক্রমণ হচ্ছে। গত চার বছর ধরে ইয়েমেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী। তারই পাল্টা হিসেবে সৌদি আরবের ‘মেরুদণ্ড’ তেল শোধনাগারগুলিকে নিশানা করছে ইয়েমের হুথি বিদ্রোহীরা।
গত কয়েক মাসে হুথি বিদ্রোহীরা লাগাতার সৌদি আরবের বিমানঘাঁটি সহ একাধিক এলাকায় সীমান্তপার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গত মাসেই আরামকো’র শায়বাহ প্রাকৃতিক গ্যাস শোধনাগারকে নিশানা করে হামলা চালায় হুথি বিদ্রোহীরা। তার আগে মে মাসে বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির তালিকায় শীর্ষে থাকা এই দেশটির গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পাইপলাইন ও পাম্পিং স্টেশনে ড্রোন হামলা চালানো হয়। যার জেরে বেশ কিছুদিন ওই দু’টিতে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় সরকার।