সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধা-বিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
পাক প্রতিনিধির এই অভিযোগেরই পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি সন্দীপ কুমার বায়াপু বলেন, ‘ফের একবার নির্দিষ্ট এক প্রতিনিধিদল এই আন্তর্জাতিক মঞ্চের অপব্যবহার করে আমার দেশের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং প্রতারণামূলক প্রচার চালাচ্ছে। অতীতেও এইধরনের পরিকল্পনাগুলি সফল হয়নি, এবারও সাফল্য অধরাই থেকে যাবে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘সত্যিটা হল, ওই প্রতিনিধিদল এমন একটি ভৌগলিক অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন, যাকে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হিসেবেই সবাই জানেন। যেখানকার মাটি থেকে ছড়ানো সন্ত্রাস আমাদের দেশে তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য অংশেও নিরীহ মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। তাই আমরা এইধরনের ভিত্তিহীন বিতর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়ে সেটিকে মান্যতা দিতে চাই না।’
এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের বার্ষিক রিপোর্টের সমালোচনা করার পাশাপাশি নিরাপত্তা পরিষদের গঠনতন্ত্রে ত্রুটি থাকারও দাবি করেন বায়াপু। তাঁর মতে, পরিষদের কর্মপদ্ধতির সঙ্গে বাস্তবের প্রচুর ফারাক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বৃহত্তর সদস্যদের আশা-আকাঙ্খাকে কখনওই প্রতিফলিত করে না পরিষদ। অন্যান্য সদস্যদের মতো আমরাও মনে করি, স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি সহ নিরাপত্তা পরিষদের ব্যাপক সংস্কারই সমাধানের একমাত্র পথ হতে পারে।’ বার্ষিক রিপোর্ট প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই রিপোর্ট আরও বেশি পরিসংখ্যান এবং তথ্যনির্ভর হওয়ার পরিবর্তে দিনকে দিন আরও সংক্ষিপ্তসার হয়ে উঠছে। যা একেবারেই কাম্য নয়। বায়াপু জোর দিয়ে বলেন, রিপোর্ট তৈরির সময়কালে আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পরিষদ যেসমস্ত ব্যবস্থা বা সিদ্ধান্তগ্রহণ করেছিল, বার্ষিক রিপোর্টে অবশ্যই সেগুলির বিশ্লেষণ করতে হবে। যাতে সকলে সে সম্পর্কে অবগত হন। বার্ষিক রিপোর্টে শুধু তথ্যের অভাব নিয়েই নয়, বছরের শেষদিকে সেটিকে প্রকাশ করার বিষয় নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি। এর ফলে রিপোর্ট নিয়ে উপযুক্ত আলোচনার জন্য সদস্যদের পূর্ণ মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। বায়াপু বলেন, ‘এই ত্রুটির সংশোধন জরুরি। রিপোর্ট তৈরি করার নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকতে হবে। আর শেষের দিকে নয়, অধিবেশন শুরুর প্রথমেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার আয়োজন করতে হবে।’
অন্যদিকে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধানকে মিশেল ব্যাশেলের সঙ্গে দেখা করে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে রিপোর্ট দেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) বিজয় ঠাকুর সিং। একদিকে উপত্যকায় স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে নয়াদিল্লি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে কাউন্সিল প্রধানকে অবগত করেন তিনি। অন্যদিকে, আবার পাকিস্তানের মাটি থেকে সীমান্তপারের সন্ত্রাসবাদ নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেন বিজয় ঠাকুর।