মহেন্দ্রগড় (হরিয়ানা): লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফার আগে ফের ‘আমিত্বে’ই শান দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মতে, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র কোনও মুখই নেই। বৃহস্পতিবার হরিয়ানার মহেন্দ্রনগরে এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ভোটারদের উদ্দেশে আত্মপ্রচারের সুরে মোদি বলেন, চলতি নির্বাচনে শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, দেশের ভবিষ্যৎও নির্ধারিত হবে। একদিকে আপনাদের পরীক্ষিত সেবক মোদি রয়েছেন। তবে উল্টোদিকে কে রয়েছেন, তা কেউই জানেন না। তাঁর মতে, ‘ইন্ডিয়া’ জোট অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক ও জাতিবিদ্বেষী। তারা পরিবারবাদকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এদিন বিরোধীদের বিঁধে মোদি দাবি করেন, আগামী পাঁচ বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আলোচনা করছে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক। এরপরই তাঁর কটাক্ষ, গোরু দুধ দেওয়ার আগেই ‘ঘি’ নিয়ে জোটের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবের সভা থেকে রাজ্যের আম আদমি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানের আমলে মাদকের ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে। গোটা রাজ্য সরকারই দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে। এদিন মানকে ‘কাগুজে মুখ্যমন্ত্রী’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
পাল্টা বেকারত্ব, কৃষক বিক্ষোভ ও স্মার্ট সিটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছে কংগ্রেস। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার সভার প্রসঙ্গ টেনে তাদের তোপ, কৃষক আন্দোলন নিয়ে একটিও শব্দ ব্যবহার করেননি মোদি। পাশাপাশি, বেকারত্ব নিয়েও নীরব থেকেছেন। এক্স হ্যান্ডলে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, কৃষক আন্দোলন নিয়ে মোদি কেন কিছু বললেন না? ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দুর্নীতি নিয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের কী হল? পাতিয়ালা কেন স্মার্ট সিটি মিশনে জায়গা পেল না? রমেশের অভিযোগ, বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর হরিয়ানায় স্থায়ী চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। ভোটের সময় তাই স্কিল এমপ্লয়মেন্ট কর্পোরেশনের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে উত্সাহ দেওয়া হচ্ছে।