পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
পুনের ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পর কম জলঘোলা হয়নি। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বুধবার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড তার জামিন বাতিল করে। তাকে পাঠানো হয় জুভেনাইল হোমে। আপাতত সে ১৪ দিনের হেফাজতে রয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও দায়ের হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে তার ছ’মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কিন্তুদু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই কিশোরকে সাবালক হিসেবে বিচারের দাবি উঠেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কিশোরের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল জানান, এক্ষেত্রে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে ৯০ দিন সময় প্রয়োজন।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ওই কিশোরের ঠাকুরদা পুলিসকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন তিনি নাতিকে আর অসৎসঙ্গে মিশতে দেবেন না। তাঁর কথার ভিত্তিতে ওই কিশোরকে জামিন দেওয়া হয়। তারপর জল অনেক দূর গড়িয়েছে।বর্তমানে পুনে পুলিসের অপরাধ দমন শাখা কিশোরের ঠাকুরদাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, তিনিই নাবালক ছেলেকে আড়াই কোটির গাড়ি চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন। নাবালক ছেলেকে ড্রাইভিংয়ের অনুমতি দেওয়ার জন্যই ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪মে পর্যন্ত তাঁকে পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া নাবালককে মদ বিক্রির অভিযোগে দু’টি পানশালা ও সেগুলির মালিকদের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায়উত্তীর্ণ হওয়ার আনন্দে পানশালায় বসে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করেছিল অভিযুক্ত কিশোর। সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, টেবিলভর্তি মদের বোতল নিয়ে সে বন্ধুদের সঙ্গে বসে রয়েছে। দুর্ঘটনার পরই সেই পানশালা সিল করে দেওয়া হয়। এদিকে দুর্ঘটনার বলি অনীশ আওয়াধিয়ার মা সবিতা অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘যদি ওই কিশোরের পরিবার ছেলের উপর সঠিকভাবে নজর দিত, তাহলে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটত না। আজ আমার ছেলে বেঁচে থাকত। এটা খুন ছাড়া আর কিছুই নয়। ওইনাবালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’