কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
আর সেই ‘বিপদ’ বলতে যে নির্বাচনী লড়াইয়ে ভরাডুবি, তারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে সঙ্ঘ! কারণ, লখিমপুর খেরি কাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের ‘গ্রাউন্ড জিরো’ রিপোর্ট কিন্তু বিজেপি তথা যোগীর অনুকূলে নেই। সঙ্ঘের সুরে সুর মিলিয়ে মোদি-যোগীর বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন দলেরই সাংসদ বরুণ গান্ধী। তাঁর কথায়, ‘এবার অন্তত একগুঁয়েমি ছেড়ে কৃষকদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হোক।’ এর আগেও কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে বেসুরো ছিলেন বরুণ। তার খেসারতও তাঁকে দিতে হয়েছে। বাদ পড়েছেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে। সেক্ষেত্রে বরুণের কথাকে খুব একটা গুরুত্ব নাই বা দিতে পারেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু সঙ্ঘের পরামর্শকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো দুঃসাহস তাঁরা নাও দেখাতে পারেন বলে রাজনৈতিক শিবিরের মত।
সঙ্ঘ এখন উত্তরপ্রদেশের ভোট নিয়ে যারপরনাই উদ্বিগ্ন। কারণ একটাই—কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে আম কৃষক সমাজের তুমুল অসন্তোষ…বিক্ষোভ ও আন্দোলন। দিল্লির সিংঘু সীমানায় আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়েই যাচ্ছেন কৃষকরা। তার মধ্যেই ঘটে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনা। বিক্ষোভরত কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলের বিরুদ্ধে। অথচ, মন্ত্রী পদে এখনও বহাল তবিয়তেই রয়েছেন অজয়। তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন যোগীরাজ্যের কৃষকরা। নির্বাচনে তার নেতিবাচক প্রভাবের সম্ভাবনা আঁচ করেই ময়দানে ঝাঁপিয়েছেন সঙ্ঘ নেতারা।
টানা প্রায় এক সপ্তাহ উত্তরপ্রদেশে পশ্চিমপ্রান্ত চষে বেড়ানোর দায়িত্ব পড়েছিল আরএসএসের যুগ্মসচিব কৃষ্ণ গোপালের উপর। ‘গ্রাউন্ড জিরো’র পালস বুঝতে তাঁকে পাঠানো হয় বলে সূত্রের খবর। তিনি ঘুরে ঘুরে খোঁজ নিয়েছেন বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে। তাতে মূল যে বিষয়টি তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন তা হল, কৃষকদের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে বেশ কয়েক যোজন। ভোটের মুখে এই দূরত্ব কীভাবে ঘোচানো সম্ভব, তা নিয়ে স্থানীয়স্তরের একাধিক বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠকও করেন গোপাল। সূত্রের খবর, নেতাদের তিনি পই পই করে বলে দিয়েছেন, আর কোনওভাবেই কৃষকদের বিরুদ্ধে মুখ খোলা চলবে না। তাঁদের সমস্যাকে দরদী মন দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সঙ্ঘ নেতা বলেছেন, ‘সমস্যা যতই কঠিন হোক, আলোচনাতেই তার সমাধান সম্ভব। আলোচনার এক দরজা বন্ধ হলে অন্য দরজা খুলে দিতে হবে।’ একই সঙ্গে বিভেদমূলক রাজনীতি থেকেও সরে আসার কৌশল গ্রহণ করতে হবে বলেও বিজেপি নেতাদের পরামর্শ দিয়েছে সঙ্ঘ।