সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
গত জানুয়ারিতে সেনসেক্স প্রথমবারের জন্য ৫০ হাজারের সীমা ছুঁয়েছিল। আর তার ন’মাসের মাথায় পেরিয়ে গেল ৬০ হাজারের গণ্ডি। বৃহস্পতিবার থেকেই স্বপ্নের দৌড় শুরু করেছিল বম্বে শেয়ার বাজার সূচক। একসময় এক হাজার পয়েন্টেরও বেশি বেড়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, ৬০ হাজারের উচ্চতা পেরিয়ে যাবে। কিন্তু, দিনের শেষে কিছুটা পয়েন্ট হারিয়ে ৬০ হাজারের কিছুটা নীচে থিতু হয়েছিল। কিন্তু, শুক্রবার বাজার খুলতেই শুরু হয় দৌড়। ৪০০ পয়েন্ট বেড়ে ৬০ হাজার ২৯৪-এর ঘরে পেরিয়ে যায়। নিফটিও ১৭ হাজার ৯০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পরে ১৬৩.১১ পয়েন্ট যোগ করে দিনের শেষে সেনসেক্স ৬০,০৪৮.৪৭ ঘরে থামে। পাশাপাশি, ৩০.২৫ পয়েন্ট বেড়ে নিফটি থেমেছে ১৭৮৫৩.২০ পয়েন্টে। তবে, এদিন ডলারের নিরিখে টাকার দাম চার পয়সা পড়েছে। এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৭৩.৬৮ টাকা।
করোনা সংক্রমণের গোড়ায় অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৪ মার্চ সেনসেক্স ছিল ২৫ হাজার ৬৩৮ ঘরে। সেখান থেকে গত ১৮ মাসে ছাড়াল ৬০ হাজারের গণ্ডি। অর্থাৎ, বৃদ্ধি পেয়েছে ১২৫ শতাংশ। ১৯৮৬ সালের ২ জানুয়ারি ১০০ পয়েন্ট থেকে সেনসেক্সের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৯০ সালে ২৫ জুলাই ছিল ১০০০ পয়েন্ট। সেখান থেকে বেড়ে ৩০ হাজারে ছুঁতে সময় লেগেছে ২৫ বছর। ২০১৫ সালের ৪ মার্চ। আর পরবর্তী ৩০ হাজার পয়েন্টে সেনসেক্স পৌঁছতে সময় লাগল মাত্র ছ’বছর। অর্থাৎ, সবমিলিয়ে ১০০০ পয়েন্ট থেকে ৬০ হাজারের গণ্ডি ছুঁতে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সময় লেগেছে প্রায় ৩১ বছর।
দুই সূচকের এদিনের এই লাফের ফলে ব্যাঙ্ক, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এবং ধাতু প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগকারীরা লাভের মুখ দেখেছে। সবথেকে বেশি দর উঠেছে ব্যাঙ্কগুলির শেয়ারের। এছাড়া, আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, তেল ও গ্যাস কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। সূচকের এই বৃদ্ধির জন্য বাজার বিশেষজ্ঞরা করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে কৃতিত্ব দিয়েছেন।