সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে। তারপর চলেছিল লাগাতার তল্লাশি অভিযান। মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের কাছে খবর, সেই তাড়ায় হিজবুল মুজাহিদিনের সিংহভাগ সদস্য এবং কমান্ডার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পালিয়ে যায়। এই গোষ্ঠীর সক্রিয়তা বহুদিন বন্ধ ছিল। বর্ষার মরশুমে এই জঙ্গি গোষ্ঠী আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক সদস্য ফিরেছে কাশ্মীর উপত্যকায়। পাশাপাশি পাঠানকোট ও গুরদাসপুর রুটেও ঢুকেছে কিছু ফেরার সদস্য। এদের সঙ্গেই এবার যোগ দিয়েছে হরকত-উল-আনসার এবং লস্কর জঙ্গিরা। ভারতে হানা দেওয়ার আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীর তো বটেই, এদের ট্রেনিং হয়েছে আফগানিস্তানেও। তাদের মধ্যেই বিশেষ করে টিফিন বক্স বোমায় প্রশিক্ষিত প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি পাকিস্তানের নাকিয়াল সেক্টরের কাছে একটি ট্রেনিং ক্যাম্পে বেশ কিছুদিন ধরে রয়েছে।সম্প্রতি অমৃতসরের কাছে দু’টি টিফিন বক্স বোমা পাওয়া যায়। এরপরই জারি হয় সতর্কতা। ভারতের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, দু’টি পৃথক প্ল্যান হয়েছে। একটি গ্রুপ ভারতে ঢুকতে চাইছে উৎসবের মরশুমের আগেই। আর অন্য একটি জঙ্গিবাহিনী থাকবে অপেক্ষায়। নভেম্বরের পর, ঠিক শীতের শুরুতে তারা চেষ্টা করবে অনুপ্রবেশের। আপাতত প্রথম গোষ্ঠীকে নিয়েই উদ্বেগ নিরাপত্তা এজেন্সির। কারণ, জনবহুল এলাকায় টিফিন বক্স বোমা রেখে যাওয়াটাই এদের টার্গেট। তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর ক্ষুদ্র কিছু আফগানিস্তান কেন্দ্রিক জঙ্গি গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়েছে। তাদের কাজে লাগাতে চাইছে পাকিস্তান। তাই লস্কর, হিজবুল এবং হরকতের পাশাপাশি কয়েকটি ছোট গোষ্ঠীর সদস্যকেও ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।