শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
সেপ্টেম্বরে শীর্ষে পৌঁছেছিল দৈনিক সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই ৭০ থেকে ৮০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন। মাঝে কয়েকদিন তা ৯০ হাজারের সীমা পেরিয়ে যায়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৭ হাজার ৮৯৪ জন। এপর্যন্ত যা সর্বাধিক। মাসজুড়েই বেড়েছে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বুলেটিনে তার উল্টো ছবিটাই ধরা পড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টার হিসেব ধরে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৭১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৮০ জন। তার মধ্যে অবশ্য ৬২ লক্ষ ২৭ হাজার ২৯৫ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। শেষ একদিনে করোনাকে জয় করেছেন ৭৭ হাজার ৭৬০ জন। সুস্থতার হার ৮৬.৭৮ শতাংশ। এখনও চিকিত্সাধীন ৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৭২৯ জন। অন্যদিকে, দেশে এদিন পর্যন্ত করোনায় মোট ১ লক্ষ ৯ হাজার ৮৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭০৬ জন মারা গিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। মৃত্যুহার ১.৫৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ৭০ শতাংশ মৃত্যুই হয়েছে কো মরবিডিটির কারণে। আর মৃতদের মধ্যে ৭০ ভাগই পুরুষ।
করোনায় মৃতদের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে ৪০ হাজার ৫০৪ জন মারা গিয়েছেন। তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে মোট মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশেও সংখ্যাটা ছ’হাজারের বেশি। দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে মারা গিয়েছেন সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। গুজরাত, পাঞ্জাবে সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণের শীর্ষেও রয়েছে মহারাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু। পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ, ষষ্ঠ দিল্লি। তারপরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আইসিএমআর-এর হিসেব বলছে, গতকাল দেশে ১০ লক্ষ ৭৩ হাজার ১৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট কোভিড টেস্টের সংখ্যা ৮ কোটি ৮৯ লক্ষ ১০৭। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শীঘ্রই দৈনিক পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে উদ্বেগ এখনও কাটেনি। দেশে অন্তত তিনজন কোভিড-জয়ীর পুনরায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন মুম্বই এবং একজন আমেদাবাদের বাসিন্দা।