শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
চিঠির কয়েকটি জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। উচ্চশিক্ষা অধিকর্তার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা সচিবের কাছে চিঠি পাঠানোটাই নিয়ম। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, এই নিয়োগ করেছে রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদ। যদিও এই নিয়োগে তাদের সক্রিয় কোনও ভূমিকা নেই। পুরোটাই হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়,উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে। আরও একটি বিষয় হল, চিঠি পাঠানো হয়েছে ইউজিসির পূর্বাঞ্চলীয় অফিসের নাম করে। সই রয়েছে উপসচিবের। কিন্তু এ ধরনের চিঠি আসার কথা সরাসরি ইউজিসির সচিবের কাছ থেকেই।
মঙ্গলবার ইউজিসি’র যুগ্মসচিব তথা সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অজয়কুমার খাণ্ডুরি জানান, এই চিঠির কোনও সারবত্তা নেই। সংস্থার উপসচিবের কোনও রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরে এমন চিঠি পাঠানোর ক্ষমতাই নেই। খাণ্ডুরি বলেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যোগ্যতামান ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। কোনও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়মের জেরে মামলা হলে এবং ইউজিসিকে পক্ষ করলে, তখন হস্তক্ষেপ করা হয়। তাছাড়া নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির ক্ষেত্রে ইউজিসির সচিব পর্যায়ের অফিসার খোদ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সচিবকেই চিঠি পাঠান। উচ্চশিক্ষা অধিকর্তাকে সম্বোধন করা ওই চিঠিতে এক উপসচিব জানতে চেয়েছেন, সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে স্যাক্ট নিয়োগের নামে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদ (ডব্লুবিএসসিএইচই) কেন যাবতীয় নিয়ম ও বিধি লঙ্ঘন করেছে? অবিলম্বে এর কারণ ব্যাখ্যা করে চিঠি পূর্বাঞ্চলীয় অফিসে জমা দিতে হবে। চিঠিতে ৯ অক্টোবর পোস্টে পাঠানোর তারিখ উল্লেখ রয়েছে। তবে আদতে তা পাঠানো হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকাশ ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা স্বাভাবিক কারণেই সেই চিঠি এখনও পাননি।