কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
গ্রামীণ এলাকায় কৃষি পরিকাঠামো নির্মাণ ও বিনিয়োগে শিল্প সংস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য একঝাঁক সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করছে কেন্দ্র। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। সরকার চাইছে, এবার কৃষকরাই সরাসরি পরিকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসুক। এককভাবে কৃষকের পক্ষে বড়সড় লগ্নি করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে একজোট হয়ে সমবায় গঠন, কিংবা সমবায় সমিতি ও কৃষি সহায়ক সমিতির মাধ্যমেও এই লগ্নির উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষি এবং কৃষিভিত্তিক গ্রামোন্নয়নে ১ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো ফান্ড প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা চাইছি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এখন থেকে সরাসরি কৃষকরাও এগিয়ে আসুক পরিকাঠামো নির্মাণে। কারণ কৃষকদের ফসল উৎপাদনের পর সবথেকে বড় সমস্যা তৈরি হয় সেই ফসলকে বাজারজাত করতে এবং যথাযথ দাম পেতে। মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের উপর নির্ভরশীল হতে হয় চাষিদের। তখনই কৃষকদের আয় আর বাড়ে না। পাশাপাশি লোকসান সামলাতে গিয়ে বাড়ানো যায় না কৃষিজমির পরিমাণও। এই কারণেই জেলায় জেলায় হিমঘর, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র, সাপ্লাই চেন সমিতি, ফসল সংরক্ষণ ও ফসল সংগ্রহ কেন্দ্র গড়ে তুলতে চাইছে কেন্দ্র।
ফসল সংরক্ষণ এবং তারপর তা রপ্তানি—কেন্দ্র চাইছে, এই পুরো প্রক্রিয়াটাই কৃষকদের মাধ্যমে হোক। ঠিক সেই কারণেই গঠন করা হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল। যার মধ্যে প্রথম ১ হাজার কোটি টাকা প্রথম দিনেই বরাদ্দ করা হয়েছে ২২৮০ কৃষি সমিতির জন্য। কৃষি পরিকাঠামো তহবিলের মাধ্যমে জেলায় জেলায় কৃষি ক্লাস্টার নির্মাণ করা হবে। ৩৫০টি জেলায় হবে কৃষি ইউনিটের স্টার্ট আপস। রবিবার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি সম্মানের ১৭ হাজার কোটি টাকা তুলে দেন সাড়ে ৮ কোটি কৃষককে। বলেন, লকডাউন এবং আনলক পর্বে একমাত্র কৃষক ও গ্রামীণ অর্থনীতি দেশকে সচল রেখেছে। তাই আগামী দিনে শিল্পমহল গ্রামে লগ্নি করলে বিশেষ প্যাকেজ দেবে সরকার।