শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, ব্রজরাজনগরের কাছে লাজকুরা থেকে রৌরকেল্লা পৌঁছতে এই সুপার অ্যানাকোন্ডা সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। বিলাসপুর এবং চক্রধরপুর ডিভিশনের মধ্য দিয়ে এই ট্রেন চালানো হয়েছে। উল্লিখিত ডিভিশনগুলো রেল নেটওয়ার্কের সবথেকে ব্যস্ততম শাখা হিসেবেই পরিচিত। সাধারণত ওই পথ অতিক্রম করতে একটি মালগাড়ির সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। অর্থাৎ, ব্যস্ততম শাখা হওয়া সত্ত্বেও সুপার অ্যানাকোন্ডা ট্রেন ওই একই দূরত্ব অতিক্রম করেছে নির্ধারিত সময়ের থেকে ঘণ্টাখানেক কম সময়েই। রেল জানিয়েছে, সুপার অ্যানাকোন্ডার সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। গড় গতি রাখা হয়েছিল ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিজেই জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় রেলের পণ্য পরিবহণে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হয়ে থাকবে। এর আগে কখনও এই ব্যবস্থা করা হয়নি।’ রেল জানিয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দ্রুতগতিতে সরবরাহের কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও সুপার অ্যানাকোন্ডার পরীক্ষামূলক চলাচলে প্রায় ১৫ হাজার টনের কয়লা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। ছ’হাজার অশ্বশক্তি (এইচপি বা হর্সপাওয়ার) সম্পন্ন তিনটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনকে (লোকোমোটিভ) জুড়ে সুপার অ্যানাকোন্ডা চালিয়েছে রেলমন্ত্রক। এর আগে দু’টো মালগাড়িকে জুড়ে পণ্য সরবরাহ করেছে রেল। কিন্তু তিনটে মালগাড়িকে একসঙ্গে জুড়ে তুলনায় বেশি গতিতে পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ অতীতে কখনও নেওয়া হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ফ্রেট চার্জে একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা করেছে রেল। বলা হয়েছে, ১৪০০ কিলোমিটারের বেশি কয়লা পরিবহণে ২০ শতাংশ, ১৬০০ কিলোমিটারের বেশি লোহা ও স্টিল পরিবহণে ২০ শতাংশ, ৭০১ থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে লৌহ আকরিক সরবরাহে ১৫ শতাংশ এবং দেড় হাজার কিলোমিটারের বেশি লৌহ আকরিক সরবরাহে ২০ শতাংশ ফ্রেট চার্জ ছাড় দেওয়া হবে। তবে তা কোনওমতেই নির্দিষ্ট দূরত্বের এনটিআরের (নর্মাল ট্যারিফ রেট) থেকে কম হবে না।