শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, সোমবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কোলাবার তাজমহল প্যালেস এবং বান্দ্রার তাজ ল্যান্ডস হোটেলের ল্যান্ডলাইন নম্বরে ফোন আসে। এক ব্যক্তি হোটেল দুটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। সে পাকিস্তানের করাচি থেকে ফোন করছে বলেও জানায়। এরপর হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে মুম্বই পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়। তোলপাড় পড়ে যায় প্রশাসনিক পর্যায়ে। কারণ, ২০০৮ সালে ছত্রপতি টার্মিনাসের কাছে অবস্থিত কোলাবার ওই হোটেলও হামলা চালিয়েছিল লস্কর জঙ্গিরা।
হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে খবর পেয়েই সক্রিয় হয়ে ওঠে প্রশাসন। তাজ হোটেলের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হোটেলে ঢোকা ও বেরনোর মুখে কড়া নজরদারি চলছে। পাশাপাশি, গোটা মুম্বই জুড়ে কড়া সতর্কতা জারি করেছেন পুলিস কর্তারা। সেই সঙ্গে, ওই ফোন কলের ব্যাপারে আরও তথ্য জোগাড় করতে তত্পরতা শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জঙ্গি দমন শাখাও।
মুম্বইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হামলা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ১০ জন লস্কর জঙ্গি তাজমহল প্যালেস হোটেল, ছত্রপতি টার্মিনাস রেল স্টেশন, লিওপোর্ড ক্যাফে সহ একাধিক জায়গায় হত্যালীলা চালিয়েছিল। পুলিস, এনএসজি কমান্ডো সহ প্রাণ হারান ১৭৪ জন মানুষ। জখম হয়েছিলেন কমপক্ষে ৩০০ জন। প্রায় তিন দিন লড়াই চলার পর জঙ্গি মুক্ত হয়েছিল মুম্বই। প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—কারও মন থেকে থেকে সেই স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি। তাই সোমবার রাতে পাকিস্তান থেকে হুমকি ফোনের পর সক্রিয় হয়ে ওঠে মুম্বই পুলিস। জঙ্গি হামলার হুমকির পর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাজ হোটেল।