কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
অন্যদিকে, কন্টেইনমেন্ট জোনে বাস চালানোর নির্দেশিকা হাতড়ে বেড়াচ্ছেন চালক, কন্ডাকটরা। একই সঙ্গে করোনা আতঙ্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবহণ শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে ভয় পাচ্ছেন। স্বভাবতই বাস রাস্তায় নামানোই এক চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে বেসরকারি বাস পরিষেবায় বড়সড় ধস নামার আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল।
এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা বলেন, নয়া লকডাউনের চূড়ান্ত রূপরেখা এখনও স্থির হয়নি। কারণ, আগের তুলনায় এই লকডাউন কিছুটা ভিন্ন। পকেটে পকেটে এভাবে কড়া নিষেধাজ্ঞা লাগু করতে স্থানীয় প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। নবান্নের তরফে সার্বিক পরিকল্পনা করে দেওয়া হবে। সেই সময় পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয়গুলি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, বেশিরভাগ বাস শ্রমিক গ্রাম কিংবা শহরতলিতে থাকেন। যার বেশিরভাগ এলাকায় লকডাউন চলবে। তাই শ্রমিকরা আসতে চাইবেন না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কলকাতায় চলা বাসের বেশিরভাগ চালক-কন্ডাকটরা দুই ২৪ পরগনা থেকে আসেন। ওই দুই জেলায় সম্পূর্ণ লকডাউন চলায় আগামী দিনে শহরের বুকে বাস নামানো রীতিমত চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি লকডাউনের এলাকা বাদ দিয়ে রুটের বাস অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দিলে তেলের খরচ আরও বাড়বে। এই অর্থনৈতিক সঙ্কটকালে খরচ বৃদ্ধি পেলে মালিকরা বাস নামাতে সম্মত হবেন না বলে জানান তপনবাবু। এ প্রসঙ্গে অল-বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখনও পর্যন্ত পরিবহণ দপ্তরের তরফে বাস চালানোর গাইডলাইন আসেনি। আমরা প্রথম দফার বিজ্ঞপ্তি মেনে বাস চালাবো। তবে নয়া এই লকডাউন ঘোষণার পরে বাসশ্রমিক ও যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলেও জানান রাহুলবাবু। যার জেরে যাত্রী সংখ্যা ও বাসের সংখ্যা আগের তুলনায় কমবে বলে মনে করেন তিনি।