বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগারে করোনায় আক্রান্ত বন্দির সংখ্যা ৭৫০। তালিকায় সবার উপরে রয়েছে মহারাষ্ট্র (৩৪২)। তারপর যথাক্রমে রয়েছে রাজস্থান (১২৫), উত্তরপ্রদেশ (৮১), দিল্লি (৫৬) এবং মধ্যপ্রদেশ (৫৫)। সেক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত থেকে নজির গড়েছে বাংলার সংশোধনাগারগুলি। এই মুহূর্তে রাজ্যে কেন্দ্রীয়, মুক্ত এবং জেলা কারাগার মিলিয়ে মোট ৬০টি সংশোধনাগার রয়েছে। আর বন্দির সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। এই বিরাট সংখ্যক মানুষকে করোনা থেকে বাঁচাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কারা দপ্তর। শেষ তিন মাসে তার সুফলও মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। সেই মতো লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই বন্দিদের ভিটামিন সি’র ঘাটতি মেটাতে প্রতিদিন পাতিলেবু দেওয়া হচ্ছে। বিভাগীয় কর্তাদের দাবি, এই পাতিলেবুই করোনা মোকাবিলায় বন্দিদের ‘সুরক্ষা কবচ’ হিসেবে কাজ করছে। বন্দিদের স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে এই প্রথম একটি বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা দপ্তর। করোনা পর্বে জেলে বন্দিদের চাপ কমাতে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মিলিয়ে মোট তিন হাজার আবাসিককে ৯০ দিনের প্যারোল ও অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া হয়েছে। ফলে জেলে বাড়তি জায়গা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে ২২ হাজারের কিছু বেশি বন্দি রয়েছেন কারাগারগুলিতে। বন্দিদের এই পর্বে ১১ হাজার লিটার স্যানিটাইজার, ৫০ হাজারের বেশি সাবান, রুমাল ও মাস্ক দেওয়া হয়েছে। সব সংশোধনাগারেই বাইরের লোকজনের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। খাবারের মেনুতেও এসেছে অভিনবত্ব। সাধারণত সপ্তাহে একদিন খাসির মাংস খাওয়ানো হতো বন্দিদের। লকডাউনে
জোগান কমে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে এখন মুরগির মাংস দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত ডিম, মাছ ও সব্জিও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যাঁরা জেল হেফাজতে রয়েছেন, তাঁদের জন্য প্রতিটি সংশোধনাগারেই পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসার পর ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে তাঁদের। তার মধ্যে কারও কোনও উপসর্গ দেখা দিলে জেলের ফিভার ক্লিনিকে পরীক্ষা করানো হচ্ছে।