বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(ট্রাফিক) অভয় মহাপাত্র বলেন, ২০০০-’০১ সাল নাগাদ শেষবার হলদিয়া বন্দরে ৩৯-৪০হাজার টন পণ্য নিয়ে বিদেশি জাহাজ এসেছিল। তারপর নাব্যতা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন এত বেশি পরিমাণ পণ্য নিয়ে কোনও জাহাজ আসতে পারেনি। গত দু’আড়াই বছরে হুগলি নদীর হলদিয়া চ্যানেলের নাব্যতা বেড়ে যাওয়ায় বেশি পণ্য নিয়ে আসতে পারছে জাহাজ। এদিন বাল্ক জাপান জাহাজটি গত ২০বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পণ্য আনার রেকর্ড করল। তিনি বলেন, গত বছর নভেম্বরে ৩৬হাজার ৬৯৫মেট্রিক টন লাইমস্টোন নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে এমভি সাইনিং ব্লিস নামে একটি জাহাজ এসেছিল। তারপর আরও বেশি পণ্য নিয়ে এল এই বিদেশি জাহাজটি।
বন্দরের এক কর্তা বলেন, ইডেন চ্যানেল খননের পর গত তিন বছরে হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা বেড়েছে। ড্রেজিংয়ের ফলে এখন প্রতি বছর ০.২মিটার করে নাব্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন গড় নাব্যতা ৭.৫মিটার থেকে বেড়ে ৮.১মিটার দাঁড়িয়েছে। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত বর্ষার সময় ভরা জোয়ারে নাব্যতা বেড়ে গিয়ে ৮.৫মিটার পর্যন্ত পৌঁছয়। এর ফলে হলদিয়ায় বেশি পণ্য নিয়ে জাহাজ আসার সুবিধা হয়। তিনি বলেন, অকল্যান্ড চড়ার কারণে একসময় জেলিংহ্যাম চ্যানেল দিয়ে জাহাজ আসার সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ইডেন চ্যানেল খনন ও বিশেষ কিছু প্রাকৃতিক সুবিধার জন্য হলদিয়ায় নতুন করে পণ্য পরিবহণ বেড়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, নাব্যতা বৃদ্ধি ও যন্ত্রের মাধ্যমে জাহাজে দ্রুত পণ্য ওঠা-নামার জন্য হলদিয়া বন্দরে পণ্য পরিবহণ বেড়েছে। ২০১৮-’১৯ সালে বন্দরে ৪৫.২মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ্য পরিবহণ হয়েছিল। ২০১৯-’২০সালে তা আরও বেড়ে প্রায় ৪৭মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ছন্দে ফিরছে হলদিয়া বন্দর। বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি বাড়তে শুরু করেছে।