বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি ওই পদে যোগ দেন। এক বছরের শিক্ষানবিশি কাল শেষ হতে কাজের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়। যদিও তার আগেই ‘জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন’ পরীক্ষার দু’টি প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার অভিযোগে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হয়। তার জবাব দিলে তাঁকে ‘এনকোয়ারি অফিসার’-এর সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল। সেদিন তাঁকে ধরানো হয় চার্জশিট। কিন্তু, তাঁকে এনকোয়ারি রিপোর্ট দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তদন্ত অনুযায়ী শুনানি মুলতুবি থাকাকালীন তাঁর কাজের মেয়াদ বেড়েছিল। কিন্তু, সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেয়, আর তা বাড়ানো হবে না। জানা গিয়েছে, পদটি এখনও শূন্য।
অভিযোগ ছিল— এক, দায়িত্বে অবহেলা। দুই, কর্মক্ষেত্রে তিনি অধ্যাবসায়ী নন। তিন, নিজ দপ্তর যথাযথভাবে তদারক করতে তিনি ব্যর্থ। এছাড়াও বলা হয়, তিনি অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। জবাবে তাঁর আইনজীবী চপলেশ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান, অভিযোগ মেনেছেন ওই দপ্তরের এক সিনিয়র ক্লার্ক। মামলাকারীর নন। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কোনও তথ্যপ্রমাণ দেয়নি। তা সত্ত্বেও তাঁকে কর্মে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও নিরুৎসাহী বলে দেগে দেওয়া হয়েছে। যা তাঁর ব্যক্তিত্বে কালিমালেপনের নামান্তর।
বিশ্ববিদ্যালয় তথা রাজ্যের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত দাবি করেন, সিন্ডিকেট সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি না করা কখনওই শাস্তিমূলক বা ব্যক্তিত্বে কালিমালেপন নয়। তাছাড়া, বাস্তব সত্য হল, ভুল প্রশ্নপত্রের জন্য সেবার পরীক্ষাই বাতিল হয়। যা আন্তর্জাতিক সুনামের অধিকারী এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ক্ষতিকর। সেই কারণে এবং তাঁর কাজ সন্তোষজনক নয় বলেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু, আদালত রায়ে বলেছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। যেভাবে চাকরি বাতিল করতে হয়, তা মানা হয়নি। এমনকী ছয় মাসের মেয়াদ বৃদ্ধি বেঠিক। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শুরু হওয়া তদন্ত শেষ না হলেও যেভাবে তাঁর কাজের সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাতে তাঁর রোজগারের পথ বন্ধ হয়েছে। অতএব সিন্ডিকেটের সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল করা হল।