কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ দীপক লাহিড়ি বলেন, চলতি অর্থবর্ষে সব জেলায় মাছের উৎপাদন বাড়াতে রাজ্য সরকার বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ মে রাজ্য মৎস্য দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেলায় জেলায় চিঠি পাঠিয়ে বরাদ্দের কথা জানান। মূলত মিষ্টি জলে তিনটি প্রকল্পে মাছ চাষের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্পে এক বিঘা পুকুরকে একটি ইউনিট ধরা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিটের জন্য রাজ্য সরকার মোট ৫ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকায় চাষিকে মোট ১ হাজার পিস মাছের চারা ও ২০ কেজি চুন দেওয়া হবে। দার্জিলিং (জিটিএ) সহ রাজ্যের ২২টি জেলার জন্য মোট ৭৩,৫৮০টি ইউনিট বরাদ্দ হয়েছে। প্রত্যেক মৎস্য চাষিকে একটি করে ইউনিট দেওয়া হবে। এরজন্য মোট ৩৯ কোটি ৭২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ‘দেশি মাগুর মাছ’ চাষের জন্য জন্য ০.০৫ হেক্টর পুকুরকে এক ইউনিট ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি ইউনিটে বরাদ্দ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪০০ টাকা। ওই টাকায় চাষিকে মোট বারোশো পিস মাগুর মাছের বাচ্চা দেওয়া হবে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষিদের মাগুর মাছ চাষের জন্য সহযোগিতা করা হবে। এই ছ’টি জেলার জন্য মোট ৯৭৫টি ইউনিট বরাদ্দ করা হয়েছে। খরচ হবে ১ কোটি ১১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। দেশি রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের উৎপাদন বাড়াতে পৃথক স্কিমে রাজ্যের মোট ২১টি জেলার ৪১ হাজার ইউনিটের জন্য ২০ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও এক বিঘা পুকুরকে এক ইউনিট ধরা হয়েছে। প্রতি ইউনিটের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ হাজার ১০০ টাকা। ওই টাকায় এক হাজার পিস মাছের চারা চাষিকে কিনে দেবে মৎস্য দপ্তর।