কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
চুঁচুড়ার বিধায়ক তথা পুরসভার দলীয় তত্ত্বাবধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, মানুষের ইচ্ছের কথা জেনে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই আমি নিজে পুরসভার সিংহভাগ ওয়ার্ড ঘুরেছি। মানুষের মতামত জেনেছি। দলও নানাভাবে সমীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। ফলে প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ থাকতে পারে। তবে ক’জন থাকবে তা নিয়ে কিছু বলার সময় আসেনি। একটু বলতে পারি এলাকাবাসীর পছন্দের মানুষই তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার পাবেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, কে প্রার্থী হবে বা হবে না তা পুরসভার জনপ্রতিনিধিরা নিজেরা ঠিক করেন না। দল নির্দেশ দিলে প্রার্থী হব, নতুবা দলের কাজ করব, এটাই স্বাভাবিক ধারা।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে পুরসভার সিংহভাগ এলাকায় তৃণমূলকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল। তারপর থেকেই পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের বদলে দেওয়ার একটি আওয়াজ দলের অন্দরে উঠেই গিয়েছিল। এরপর পুর নির্বাচনের হাওয়া উঠতেই দলের নেতৃত্ব তৎপর হয়ে ওঠে। সমীক্ষক দল নামিয়ে পুরসভার জনপ্রতিনিধি ও পরিষেবা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়। সেই সঙ্গে অপেক্ষা চলছিল পুরসভার সংরক্ষণ তালিকা কী হয়, তার জন্যে। শুক্রবার খসড়া সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরপরই নতুন মুখ আনার বিষয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৪০ শতাংশ নতুন মুখ আনার একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে চলা হবে বলে স্থির হয়েছে। তবে চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর সেই শতাংশের হার বাড়ানো বা কমানো হতে পারে।
দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ১৩টি ক্ষেত্রে নতুন মুখ আনা হবে। দলের হয়ে প্রথমবার এই সংখ্যক তরুণ-তরুণীরা লড়তে পারেন। চারটি ক্ষেত্রে পুরনো প্রার্থীদের নতুন করে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এই তালিকায় বর্তমান পুরবোর্ডের একাধিক পদাধিকারী থাকতে পারেন। এই আসনগুলিতে বর্তমান পুরসভার জয়ী প্রার্থীদের এনে দাঁড় করানো হতে পারে বা একেবারে আনকোরা কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে। তবে বর্তমান পুরসভার মুখ গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় আসন্ন নির্বাচনেও দলের প্রার্থী থাকবেন, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান অমিত রায়ের প্রার্থী হওয়া প্রায় নিশ্চিত। দলের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, আগামী বিধানসভার দিকে নজর রেখে একটি তরুণ-তুর্কি বাহিনী তৈরি করা প্রয়োজন। পুরসভা নির্বাচনকে তারই প্রস্তুতি হিসাবে দেখা হচ্ছে।