অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কী কী রয়েছে পাঠ্যবইয়ে? আগুন লাগলে কী করা উচিত আর কী নয়, তা বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে। আবার দাহক্ষতের প্রাথমিক চিকিৎসাই বা কী করে করতে হবে, তাও বলে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের স্কুলকে কী করে আগুনের দুর্ঘটনা থেকে মুক্ত রাখবে, সেটিও বলা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীর বইয়ে কবিতার মাধ্যমে একটা সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ছবি দিয়ে তা বুঝিয়েও দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের আশা, এই পাঠ্যক্রম থেকে আগামীদিনে পড়ুয়ারা সচেতন হয়ে উঠবে এবং তাদের মাধ্যমে সমাজে অন্যরাও এ নিয়ে ওয়াকিবহাল হবেন।
সপ্তম শ্রেণীর বইয়ের আগুন লাগলে কী করা দরকার, তা নিয়ে ১৭ দফা নির্দেশনামা দেওয়া হয়েছে। যেমন প্রথমেই বলা হয়েছে, আগুন লাগলে অযথা চেঁচামেচি করে ভয়-ভীতি বা আতঙ্ক ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। আগুন লাগলে বাথরুম বা কোনও ঘরে আশ্রয় নেওয়া দরকার নেই। আগুন থেকে কোন জিনিসকে বাঁচানো যাবে, তাই ঘুরপাক খেতে থাকে মাথায়। তবুও অগ্নিকাণ্ডের সময় ব্যক্তিগত সম্পত্তি পাওয়ার জন্য আগুন লাগার ঘরে প্রবেশ না করারই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, কোনও বৈদ্যুতিক সুইচ যাতে না জ্বলে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও রয়েছে আরও একধিক পরামর্শ। পাশাপাশি, আগুনে যদি কেউ আহত হন, সেক্ষেত্রে কী করা দরকার? বলা হয়েছে, পোড়া জায়গায় হাতে স্পর্শ করা বা সুচ ফুটিয়ে ফোসকা ফাটিয়ে দেওয়া একেবারেই চলবে না। আক্রান্তের দেহে কোনও রকম নোংরা লাগতে দেওয়া যাবে না। দাহক্ষতের উপর কোনও রকম মলম লাগানোও চলবে না। তবে ক্ষতে জল দেওয়া যাবে। তার জন্য মানতে হবে তিনিটি শর্ত। পরিশুদ্ধ জলই একমাত্র ক্ষতে দিতে হবে। ক্ষতের জায়গাটি গভীর জলে চুবিয়ে রাখা দরকার।
এছাড়া চোখে যদি অ্যাসিড পড়ে, তাহলে কী করতে হবে সেই নিয়েও আলোচনা রয়েছে। বইয়ে বলা হয়েছে, প্রথমে কয়েক ফোঁটা জল সেখানে দিতে হবে। তারপর কাঁচা দুধ ফোঁটা ফোঁটা করে চোখে দিতে হবে। তবে মাতৃদুগ্ধ হলে, তা বেশি উপকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড থেকে স্কুলকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতে, একাধিক তলা রয়েছে, এমন সব স্কুলে দু’টি করে সিঁড়ি রাখা দরকার। তাছাড়া কোনও অস্থায়ী কাঠামোর নীচে ক্লাস চালানো অনুচিত। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত জলাধার ও তার পূরণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা নিয়মিত খতিয়ে দেখা দরকার।