কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
এদিন মমতা লিখেছেন, গত সাড়ে সাত বছরে বাংলার উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার সাফল্যের কাহিনী সবার সঙ্গে ভাগ করতে পেরে আনন্দিত। তিনি লিখেছেন, রাজ্যের পরিকল্পনাখাতে ২০১০-১১ সালে খরচ হয়েছিল ১৪,৬১৫.১৬ কোটি টাকা। সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে সেই খরচের পরিমাণ বেড়েছে ছয় গুণেরও বেশি, ৮৫,৩২৮.৫৩ কোটি টাকা। পরিকল্পনাখাতে খরচ বৃদ্ধির ফলেই যে রাজ্যের সামাজিক পরিকাঠামো ও সম্পদ বেশি সৃষ্টি হয়েছে, তারও বর্ণনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে মমতার ট্যুইট বার্তা—বাম জমানার শেষ পর্বে ২০১০-১১ সালে সামাজিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ২,২২৫.৭৫ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের শেষে সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সম্পদ সৃষ্টিতে খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫,২৮৭.২০ কোটি টাকায়। খরচ বৃদ্ধির পরিমাণ ১১ গুণেরও বেশি।
নানা আর্থিক সংস্কার ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে রাজ্যের নিজস্ব রাজস্ব বৃদ্ধির পরিমাণও যে বেড়েছে, তার বিবরণও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ট্যুইট বার্তা অনুযায়ী, বাম জমানার শেষ পর্বের তুলনায় গত আর্থিক বছরে রাজস্ব সংগ্রহে বৃদ্ধি হয়েছে তিন গুণ। ২০১০-১১ আর্থিক বছরে যেখানে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ২১,১২৮.৭৪ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২,৭৪৬.৫৮ কোটি টাকায়। রাজ্যের নিজস্ব কর সংগ্রহের ক্ষেত্রে জটিলতা কাটাতে গত বছর ‘ট্যাক্স সেটেলমেন্ট স্কিম’ চালু করেছিল সরকার। এদিন ট্যুইট বার্তায় সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, সদ্য শেষ আর্থিক বছরের মধ্যে ওই স্কিমের ভিত্তিতে ২৯,০০০ মামলার নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে। যার ফলে রাজ্যের কোষাগারে এসেছে প্রায় ৭৫৪ কোটি টাকা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের আর্থিক সাফল্যের এই কাহিনীকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, সম্পদ যদি বেড়েই থাকে, তাহলে তো কর্মসংস্থান বাড়বে, গরিব মানুষের সুরাহা হবে। তা হচ্ছে কই? চাকরি তো নেই, বরং চাকরির ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করলে পুলিস হেনস্তা করছে। দিলীপবাবুর দাবি, রাজ্যে সম্পদ বেড়েছে ঠিকই, তবে তা শুধু টিএমসি’র।