কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
গত বছর থেকে উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দ টাকা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খরচ করতে না পেরে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখার প্রবণতা বন্ধ করার জন্য কড়া হয়েছে অর্থ দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এব্যাপারে বৈঠক করেছিলেন। নতুন আর্থিক বছর শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ থেকে টাকা দেয় অর্থ দপ্তর। আর্থিক বছর শেষ হওয়ার আগে টাকা খরচ না করতে পারলে দপ্তরগুলির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রবণতা রয়েছে ওই টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ফেলে রাখার। বামফ্রন্ট সরকারের সময় থেকে এই ব্যবস্থা চলে আসছিল। এতে উন্নয়নমূলক কাজে বরাদ্দ অর্থ যথার্থ ভাবে খরচ হচ্ছিল না। ব্যাঙ্কে টাকা ফেলে রেখে তার সুদ থেকে দপ্তরগুলি অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় খরচও করত। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসার পর তিনি এটা বন্ধ করার জন্য অর্থ দপ্তরকে নির্দেশ দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উন্নয়নের টাকা খরচ করতে না পারলে তা অর্থ দপ্তরকে ফিরিয়ে দিতে বলা হয়। ওই অব্যবহৃত টাকা যাতে অর্থ দপ্তর অন্য উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করতে পারে তার জন্য এটা করা হয়।
পিএল প্রভৃতি অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার ব্যাপারে পঞ্চায়েত, পুরসভার মতো স্বয়ংশাসিত কিছু সংস্থাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সেটা শুধু ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ২০১৭-১৮ আর্থিক বছর বা তার আগে থেকেও পিএল সহ বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে যে টাকা পড়ে রয়েছে, তা অবশ্যই সবাইকেই যে ফেরত দিতে হবে তা অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ দপ্তরের কোন অ্যাকাউন্টে অনলাইনে টাকা ফেরত দিতে হবে তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল অর্থ দপ্তর।