Bartaman Patrika
 

লাটপাঞ্চারে দেখা হতে পারে রেড পাণ্ডার সঙ্গে 

অজন্তা সিনহা: প্রথম একা একা বেড়াতে যাওয়া এবং এক অনামি পাহাড়ি গ্রামে। প্রায় দু’দশক আগে এক বাঙালি মধ্যবিত্ত মহিলার পক্ষে ব্যাপারটা যথেষ্ট দুঃসাহসিক ছিল বলাই বাহুল্য। মনে পড়ছে ট্রেনের কথা। কামরায় একটি বড় পরিবার ছিল। পরিবারের মহিলাদের একজন তো অবাক হয়ে জিজ্ঞেসই করে ফেললেন, ‘আপনার স্বামী আপনারে একা ছাইড়া দিল?’ খুব মজা পেয়েছিলাম। এরপর তো বহুবারই বেরিয়ে পড়েছি একা একা। কিন্তু প্রথম একা যাওয়ার ব্যাপারটাই আলাদা। পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের মতোই একটা অনুভূতি। বিশেষ করে এই কারণেই বোধহয় বহু বছর আগে গেলেও লাটপাঞ্চার আমার স্মৃতিতে আজও অম্লান।
অফিসের এক সহকর্মীর কাছে হদিশ মেলে জায়গাটির। শুরু থেকেই ঠিক করেছিলাম কোনও চেনা জায়গা নয়। বড্ড লোকের ভিড়। খুঁজে পাওয়া গেল লাটপাঞ্চার। নাকি লাটসাহেবের গাড়ি এখানে এসেই পাঞ্চার হয়ে গিয়েছিল, তাই এমন নামকরণ। সত্যি জানার উপায় নেই। অত উঁচুতে লাটসাহেব আদৌ গিয়েছেন কিনা, তা ঈশ্বর ছাড়া কেউ জানেন না। উত্তরবঙ্গের নানা পাহাড়ি গ্রামে ঘোরার সুবাদে আজব-গজব সব নাম পেয়েছি। কোনও নামের অর্থ জানা গিয়েছে, কোনওটা যায়নি। সে হোক, লাটসাহেব না এলেও সাহেবদের এখানে আসা-যাওয়া ছিল। মূল্যবান সিঙ্কোনা চাষের জন্য বিখ্যাত এই অঞ্চলের অনেকটাই ছিল একদা ব্রিটিশের অধীন।
সেসব বৃত্তান্ত পরে। আগে শুরুর কথা। সারাদিন অফিস করে রাতের ট্রেনে আধো ঘুম আধো জাগরণে কাটিয়ে যখন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছলাম তখন সবে অন্ধকার কাটছে। একেবারে অচেনা সব। যাই হোক, সেই সহকর্মীর পরামর্শ মেনে একটা রিকশ করে স্টেশনের কাছের এক টেলিফোন বুথে এলাম। মোবাইল ফোন তখন কোথায়? বুথ থেকে গাড়ির মালিককে ফোন করি। সে বেচারা সম্ভবত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখনও। শিলিগুড়ি শহরের ঘুম একটু দেরিতেই ভাঙে। গাড়ি কলকাতা থেকেই রিজার্ভ করা ছিল। যাই হোক ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর একটি সাদা মারুতি ভ্যান এল আমার বাহন হয়ে। ড্রাইভার এক নেপালি তরুণ।
স্টেশন চত্বর ছাড়িয়ে, শিলিগুড়ি শহর পার হয়ে সেবক। সেই প্রথম তিস্তার সঙ্গে দেখা। সে যে কী মোহাবিষ্ট এক অবস্থা ! ততক্ষণে সূর্য আকাশ জুড়ে বিরাজমান। শরতের পেঁজা-তুলো মেঘ পুজোর আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছে দিকদিগন্তে। সেবক রোড , তারপর মহানন্দা রেঞ্জ। দুপাশে জঙ্গল ফেলে সোজা চলে গিয়েছে পিচ রাস্তা। তারপরই তিস্তা। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর কালিঝোরা। এখান থেকেই গাড়ি বাঁদিকের কিছুটা কাঁচাপাকা এক পাথুরে রাস্তা ধরল। এখন শুধুই চড়াই। পাহাড় বেষ্টন করে রাস্তা উঠেছে। সেই রাস্তা ধরেই গাড়িও উঠছে উপরে। যতই উঠুক তিস্তা রয়েছে দৃষ্টিপথে। সে যাত্রা রোমাঞ্চকর, আবার বিপজ্জনকও বটে। কোথাও কোথাও রাস্তা একেবারে খাড়া। কোথাও বা এত সরু যে একচুল এদিক ওদিক হলেই সোজা খাদে। এটা ঠিক এই সব অনির্বচনীয়তার জন্যই তো পাহাড়ে আসা। নেপালি ড্রাইভার গান শুনতে শুনতে অতি দক্ষতায় চড়াই চড়িয়ে শেষে পৌঁছে দিল হোম স্টে-র দরজায়। হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন এক নেপালি ভদ্রলোক। এদিক ওদিক থেকে কিছু কৌতূহলী মুখ। সেইসব পেরিয়ে ভিতরে ঢুকি।
লাটপাঞ্চারে তখন একটাই থাকার জায়গা। বেশ সমৃদ্ধ এক নেপালি পরিবার। বাড়ির নীচতলায় নিজেরা থাকেন। ওপরের তিনটি ঘর অতিথির জন্য নির্দিষ্ট। তারই একটিতে আমার থাকার ব্যবস্থা। ঝটপট স্নান করে ফ্রেশ হই। ঘরের একপাশের বিশাল কাচের জানালা খুলে দিতেই পুরো প্রকৃতি যেন ঘরের ভিতর চলে এল। যতদূর চোখ যায়, শুধুই পাহাড়। ওপরে নীল আকাশ। মেঘের দল নেমে এসেছে পাহাড়ের কোলে। সে এক অপূর্ব দৃশ্যকাব্য ! সম্বিত ফেরে এক মহিলার ডাকে। জানান, লাঞ্চ রেডি।
মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির অন্তর্গত লাটপাঞ্চার। উচ্চতা ৪ হাজার ২০০ ফুট। কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন মেলে। কাছাকাছি ঘন জঙ্গল। প্রায় ৩৬ প্রজাতির পশু আছে এখানে। হরিণ, বার্কিং ডিয়ার, ব্ল্যাক ডিয়ার, বানর, লেপার্ড আছে শুনলাম। মাঝে মাঝে হাতিরাও অনেকটা উঠে আসে। আর আছে রেড পাণ্ডা। তার দুর্লভ দর্শন সে যাত্রায় ভাগ্যে ঘটেছিল। বাকি কারও দেখা মেলেনি। হোম স্টে-র মালিক বললেন লেপার্ড মশাইয়ের দেখা না পাওয়াই ভালো। ছাগল, বাছুরদের সুযোগ পেলেই আক্রমণ করে। মানুষকে কি আর রেয়াত করবে? ফুলের বাহার দেখবার মতো। প্রায় সবার বাড়ির সামনেই বাগান রয়েছে। জঙ্গলে রয়েছে নানা প্রজাতির গাছ। সেখানে পাখিদের রীতিমতো মিটিং হয় দেখলাম। প্রায় ২৪০ প্রজাতির পাখি আছে এখানে, অনেকেই বেশ বিরল তাদের মধ্যে। হোম স্টে থেকে এক-দু পা এগোলেই জঙ্গল। দিনের বেলাতেও সেখানে অন্ধকার, এতটাই ঘন গাছগাছালি। বাড়ির সামনে ফুলের বাগানে প্রজাপতির ওড়াউড়ি। ভয়ডর নেই, নিশ্চিন্তেই আছে তারা।
জঙ্গল লাগোয়া এই ছোট্ট গ্রামে অল্প কয়েকঘর লোকের বসবাস। বেশির ভাগই সিঙ্কোনা চাষের সঙ্গে যুক্ত। দুই-একজন পুলিস বা আর্মিতে। কারও কারও বাড়িতে নার্সারি আছে। জমিও আছে অল্পস্বল্প। দিন গুজরান হয়ে যায় কোনওমতে। অভাব আছে , কিন্তু অভিযোগ নেই। ঘুম ভাঙতেই নারী-পুরুষ কাজে লেগে পড়েন। ঝাড়পোছে ঝকঝকে করে তোলেন পুরো গ্রামটাই। প্রথম দিনেই গ্রামের বাচ্চাকাচ্চা চলে এল আমার সঙ্গে আলাপ করতে। তারপর থেকে যে ক’দিন ছিলাম সঙ্গ ছাড়েনি ওরা আমার। সকাল-বিকেল পায়ে হেঁটে ওদের সঙ্গেই ঘুরে বেড়িয়েছি গ্রাম আর জঙ্গলের পথে। ঘুরতে ঘুরতেই জেনেছি কিছুটা নীচে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত সাহেবি আমলের বাংলোর কথা। সেই ১৯০০ সালে সিঙ্কোনা চাষের সূত্রে সাহেবরা এখানে থাকতেন। এখন রাজ্য বন উন্নয়ন নিগমের অধীনে অতিথিশালা। গ্রাম থেকে অনেকটা উঁচুতে সিঙ্কোনা চাষের খেত। শুনলাম দুর্গাপুজো হচ্ছে ওখানেই। অত উঁচুতে ওঠার উপায় নেই। বাচ্চাপার্টি প্রসাদ এনে খাওয়ায়। পরম আদরে রোজ সকালে পুজোর পর কপালে টিকা লাগিয়ে দিয়ে যায়। টেনে নিয়ে যায় নিজেদের ঘরে। কী সুন্দর যে ওদের জীবনযাপন। কী গুণী মানুষজন। বিত্তের অভাব ওদের সৌন্দর্যবোধকে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে পারেনি।
প্রায় ১৪০০ একর জমি জুড়ে সিঙ্কোনা চাষ, সঙ্গে বেশ কয়েকটি কারখানাও আছে। ঘুরে দেখতে ভালোই লাগে। এছাড়া গ্রামের ভিতর থেকেই পথ গিয়েছে জঙ্গলে। একটু দূরে অহল দারা ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন এক অতুলনীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে। এখান থেকে তিস্তাও বড় অপরূপ। থাকার জন্য কিছু কটেজ হয়েছে এখন । কাছাকাছি নামথিং লেক, যার পাশে ঘন হয়ে আছে পাইন বন। যেন পটে আঁকা ছবি। বিরল হিমালয়ান সালমন্দরের দেখা পাবেন নামথিং পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে। এছাড়াও অতি প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ সিল্ক রুটও কাছেই। লাটপাঞ্চারে সিঙ্কোনা ছাড়াও জঙ্গলে রয়েছে শাল, টিক ও পাইনের মহার্ঘ বিলাস।
হোম স্টে-র খাওয়াদাওয়া খুবই সহজ সরল। ভাত-রুটি, সঙ্গে ডাল, ডিম, চিকেন বা সব্জি। ব্রেকফাস্টে পুরি-সব্জি বা আলুর পরোটা। চা-কফির সঙ্গে সন্ধ্যায় কিছু স্ন্যাকস। সুস্বাদু রান্না। গরম গরম পরিবেশন। পরিচ্ছন্নতা সর্বত্র। আর অনাবিল আন্তরিকতা। মনেই হবে না ঘরের বাইরে এসেছেন। মনে পড়ছে , ফেরার ঠিক আগের দিনের কথা। একদিন আগে কলকাতা থেকে একদল ছেলে এসেছে। তারা আসার পর স্বাভাবিক ভাবেই নির্জন নিঃশব্দ গ্রামে কিছু শোরগোল শোনা যাচ্ছে। যদিও তা উচ্চকিত নয়। পাহাড়ি এই গ্রামের মিষ্টি জীবনছন্দে মেতেছে ওরাও। আকাশ ঝকঝকে। তারারা যেন কথা বলছে। হোম স্টে-র সামনের চাতালে ছড়িয়ে বসেছি আমরা। খুব আড্ডা হচ্ছে। কয়েকবার চা হয়ে গেছে। আমার একলা ভ্রমণে ওরাও বেশ অবাক। এমন সময় গ্রামেরই এক তরুণ এসে জানায় রেড পাণ্ডার দেখা পাওয়া গিয়েছে। ছুট ছুট। সবাই গিয়ে সেই গাছের সামনে দাঁড়াই, যেখানে তিনি অধিষ্ঠান করছেন। ছোটখাটো চেহারার সেই প্রাণী তো প্রায় লজ্জায় মরেই যায়। কিছুক্ষণ ইতিউতি তাকিয়ে ধীরেসুস্থে ডালপালার আড়ালে চলে যায় সে। আমরা ঘরে ফিরি। আলোচনায় উত্তেজিত সবাই। কিছু তো একটা দেখা গিয়েছে! ফেরার সময় মনটা ভালো হয়ে গেল।
কিছু জরুরি তথ্য। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে লাটপাঞ্চার পৌঁছতে এক ঘণ্টা পঞ্চাশ মিনিট মতো লাগে। বাগডোগড়া থেকে একটু বেশি। গাড়ি রিজার্ভ করে যাওয়াই ভালো। পিক আপ ও ড্রপের ব্যবস্থা করে হোম স্টে থেকেই। এনজেপি থেকে ভাড়া মোটামুটি ২০০০ টাকা। হোম স্টে-র থাকাখাওয়ার খরচ দিনপ্রতি জনপ্রতি ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। সাইট সিয়িং-এর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা হোম স্টে থেকেই করে দেয়। জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো , পাখি ও গাছপালা দেখার জন্য গ্রামেই গাইড পাওয়া যায়। সব থেকে ভালো সময় অক্টোবর থেকে মে। বর্ষা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে গেলে যথেষ্ট শীতপোশাক সঙ্গে থাকা আবশ্যক। কিছু শুকনো খাবার, টর্চ, মোম-দেশলাই, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ফার্স্ট এইড বক্স সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনে দার্জিলিং ট্যুরিজমের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।
ছবি: লেখক 
01st  September, 2019
স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখে হ লি উ ড 

মৃণালকান্তি দাস: মুখ চাই মুখ?
আমাদের দেখেই সাগ্রহে জানতে চাইলেন অ্যান্তলোনি। বছর বাইশের শিল্পীর হাতে পেন্সিল। সামনে ক্যানভাস। পাশে ফাঁকা টুল। ওই টুলে বসিয়ে মাত্র ৫ ডলারের বিনিময়ে অ্যান্তলোনি আগ্রহীদের মুখের ছবি আঁকেন।  বিশদ

20th  October, 2019
টিকটক 

বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যজনক স্টেশন
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে টার্মিনাস। বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা প্রাপ্ত এই ভিক্টোরিয়ান আমলের রেল স্টেশনটি সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম আশ্চর্যজনক স্টেশনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে। 
বিশদ

15th  September, 2019
পাহাড়ের কোলে ছোট্ট গ্রাম 

লাভা ও লোলেগাঁওয়ের কথা আমরা অনেকেই শুনেছি। তারই পাশে ছোট্ট গ্রাম রিশপ। লাভা থেকে জঙ্গলের পথে ট্রেকিং করেও যাওয়া যায় ৫ কিমি পথ। পথের দৃশ্য খুবই সুন্দর। রিশপের উচ্চতা প্রায় ২ হাজার ৫৯১ মিটার। 
বিশদ

15th  September, 2019
মহীশূরের দশেরা উৎসব
অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়

প্রাসাদের শহর মহীশূর কর্ণাটকের এক ইতিহাস প্রসিদ্ধ পর্যটনকেন্দ্র। ওয়াদিয়ার রাজাদের হাতে গড়ে ওঠা এই শৈল্পিক শহরে ছড়িয়ে আছে একাধিক দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহীশূর প্রাসাদ। শহরের বিউটিস্পট এই প্রাসাদ যেন এক স্বপ্নপুরী।  
বিশদ

15th  September, 2019
নতুন নামে, নতুন সাজে দুর্গাপুরের দ্য দামোদর রিট্রিট 

সম্প্রতি সাধারণ পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হল দুর্গাপুরের দ্য দামোদর রিট্রিট হোটেল। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এই হোটেলটির একসময় নাম ছিল রিভিয়েরা। জেটেক্স ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস নামক এক বেসরকারি সংস্থার পরিচালনাধীন ছিল হোটেলটি।  
বিশদ

15th  September, 2019
ছোট্ট গ্রাম চটকপুর 

দার্জিলিং জেলার সিঞ্চল ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি মধ্যস্থিত একটি ছোট্ট গ্ৰাম চটকপুর। বড় বড় পাইন গাছের মধ্যে ১৮/২০ টি বাড়ি নিয়ে তৈরি গ্রামটি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ১৮০° পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জ স্পষ্ট দেখা যায় গ্রামের যেকোনও প্রান্ত থেকে। ভোরের সোনালি আলোয় আর সন্ধের রুপোলি আলোয়, এক অদ্ভুত মায়াজগৎ রচনা করে সে।  
বিশদ

01st  September, 2019
টিকটক 

রাতের তাজ
শ্বেতশুভ্র তাজকে পূর্ণিমায় দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না। পূর্ণিমা না থাক,অন্ধকারের আলোকেও মায়াময় হয়ে ওঠে মমতাজের স্মৃতি। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের রাতের তাজ দেখানোর জন্য নানামহল থেকে অনুরোধ এসেছে পর্যটন মন্ত্রকের দপ্তরে। 
বিশদ

01st  September, 2019
পরাশর হ্রদের তীরে

অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়: হিমাচলপ্রদেশের পাহাড়ঘেরা জেলা সদর শহর মাণ্ডি এক প্রাচীন জনপদ। মানালিগামী সড়কপথের মাঝে এর অবস্থান হলেও এখানে সেভাবে পর্যটকের ভিড় চোখে পড়ে না। কিন্তু মাণ্ডি ও তার আশপাশে ছড়িয়ে আছে বেশকিছু দর্শনীয় স্থান। যার মধ্যে অনির্বচনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে লুকিয়ে রয়েছে অচেনা পরাশর হ্রদ।
বিশদ

18th  August, 2019
নাথদ্বারায় বৃহত্তম শিব

 শ্রাবণ মাস শিবের জন্মমাস। দেশভর শিবের মন্দিরগুলি লোকারণ্য। সেই উপলক্ষে রাজস্থানের নাথদ্বারায় উৎসর্গ করা হয়েছে বৃহত্তম শিবের মূর্তি। বিশদ

18th  August, 2019
পুরীর মন্দিরে নিষিদ্ধ পান, গুটকা

ঠোঁট লাল পাণ্ডা দেখার দিন ফুরালো পুরীর মন্দিরে। মন্দির কর্তৃপক্ষ মন্দির অভ্যন্তরে পান,গুটকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আগষ্টের প্রথম দিন থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
বিশদ

18th  August, 2019
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর পুণ্যভূমি চাকলা ও কচুয়া ধাম

‘রণে বনে জলে জঙ্গলে/ যেখানেই বিপদে পড়িবে আমায় স্মরণ করিও, আমি রক্ষা করিব।’ এই উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এক মহান ধর্মযজ্ঞে শামিল হতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী যে পবিত্র তীর্থে আসেন, সেই পবিত্র তীর্থ হল চাকলা-কচুয়া ধাম।
বিশদ

18th  August, 2019
চন্দ্রতালে তাঁবু নয়

 ট্রেকারদের জন্য দুঃখের খবর। চন্দ্রতালে এবার আর তাঁবু ফেলতে পারবেন না ট্রেকাররা। স্থানীয় পঞ্চায়েত লেকের পাশে টেন্ট করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিশদ

18th  August, 2019
বাংলার বৃহত্তম ভ্রমণ মেলা

সম্প্রতি বাংলার বৃহত্তম ভ্রমণ মেলা হয়ে গেল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম ও ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। এই মেলায় একই ছাদের নীচে দেশ বিদেশের অসংখ্য পর্যটন স্থান নিয়ে হাজির ছিলেন সেই সব জায়গার প্রতিনিধিরা। দেশের রাজ্য পর্যটন দপ্তরগুলি বাংলার ‘ভ্রমণ পাগল’ পর্যটকদের জন্য তাদের রাজ্যের চেনা অচেনা পর্যটন স্থানগুলিতে আহ্বান জানায়।
বিশদ

18th  August, 2019
কেদারনাথে এটিএম 

ভারতের অন্যতম তীর্থক্ষেত্রে কেদারনাথে বসল এবার অটোমেটেড টেলর মেশিন অর্থাৎ এটিএম। এর ফলে বিশেষ উপকৃত হবেন তীর্থযাত্রীরা। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে যাত্রীদের জন্য এই সুবিধা চালু হয়েছে আগস্টের ২ তারিখ থেকে। 
বিশদ

04th  August, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 জীবানন্দ বসু, কলকাতা: গত এক বছরে দেশের কম আয়ের শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ইএসআই কর্পোরেশন। এর আয় ৫ ...

বার্সেলোনা: খেতাবের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও লড়াই জারি বার্সেলোনার। বুধবার ক্যাম্প ন্যু’য়ে লুই সুয়ারেজের করা একমাত্র গোলে কাতালন ডার্বিতে এস্প্যানিয়লকে পরাস্ত করল কিকে সেতিয়েন-ব্রিগেড। এই জয়ের ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ট্রেন বন্ধ। শিয়ালদহ খাঁ খাঁ করছে। স্টেশন সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ীরা কার্যত মাছি তাড়াচ্ছেন। এশিয়ার ব্যস্ততম স্টেশনের আশপাশের লজ, হোটেল, গেস্ট হাউসগুলির সদর ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভুয়ো ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে টাকা ফেরাতে ব্লক লেভেল টাস্ক ফোর্স (বিএলটিএফ) তৈরি করল জেলা প্রশাসন। গত ৭জুলাই জেলাশাসক পার্থ ঘোষ এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৫- ভাষাবিদ মহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম,
১৮৯৩- গণিতজ্ঞ কে সি নাগের জন্ম,
১৯৪৯- ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের জন্ম,
১৯৫০- গায়িকা পরভীন সুলতানার জন্ম,
১৯৫১- রাজনীতিক রাজনাথ সিংয়ের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.০৪ টাকা ৭৬.৭৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৪ টাকা ৯৭.১৪ টাকা
ইউরো ৮২.৯৩ টাকা ৮৭.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৯০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫১,৭১০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫১,৮১০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ আষাঢ় ১৪২৭, ১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, পঞ্চমী ১৬/৩০ দিবা ১১/৩৯। পূর্বভাদ্রপদ অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/২/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২১/২৷ অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২২ গতে ১১/৪২ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২১ মধ্যে।
২৫ আষাঢ় ১৪২৭, ১০ জুলাই ২০২০, শুক্রবার, পঞ্চমী দিবা ১১/২৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র অহোরাত্র। সূযোদয় ৫/২, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৩ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/৩ গতে ১০/২৩ মধ্যে।
১৮ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: ব্যবসায় অতিরিক্ত সতর্কতার প্রয়োজন। বৃষ: শরীর-স্বাস্থ্যে দ্রুত আরোগ্য। মিথুন: একাধিক উপায়ে ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৮৫- ভাষাবিদ মহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম,১৮৯৩- গণিতজ্ঞ কে সি নাগের জন্ম,১৯৪৯- ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ৭,৮৬২ জন, মোট আক্রান্ত ২,৩৮৬১ 

09:42:28 PM

কর্ণাটকে করোনা পজিটিভ আরও ২,৩১৩ জন, মোট আক্রান্ত ৩৩,৪১৮ 

08:09:39 PM

করোনা: রাজ্যে ফের রেকর্ড সংক্রমণ 
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ফের রেকর্ড সংক্রমণ। একদিনে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ...বিশদ

07:40:59 PM

করোনায় আক্রান্ত কোয়েল মল্লিক 
করোনায় আক্রান্ত হলেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক, তাঁর স্বামী নিসপাল সিং ...বিশদ

07:29:30 PM