অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কৃষি দপ্তরের উদ্যাগে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় ভুট্টা চাষ শুরু করেছেন চাষিরা। দপ্তর সূত্রে খবর, ২০১০-’১১আর্থিক বছরে যা ভুট্টা চাষ হতো বর্তমানে সেই চাষ ১০গুণ বেড়ে গিয়েছে। আগে ভুট্টা বিক্রি হতো আট টাকা কেজি। বর্তমানে সেই দাম বেড়ে হয়েছে ২২ টাকা। তাই ধান ও গম চাষের বিকল্প হিসেবে রাজ্যজুড়ে ভুট্টা চাষে কৃষকদের আরও আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোগী হচ্ছে কৃষি দপ্তর। সেক্ষেত্রে ভুট্টা চাষের পদ্ধতি হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিতে রাজ্যজুড়ে কর্মশালা করার পাশাপাশি ভর্তুকিযুক্ত কৃষি যন্ত্রপাতিও দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে দপ্তর।
মুরারি যাদব বলেন, আগামী দিনে ভুট্টা গুরুত্বপূর্ণ ফসলের মধ্যে স্থান দখল করতে চলেছে। ১০বছর আগে ভুট্টা চাষ হয়েছে ৩০-৪০হাজার হেক্টর জমিতে। এখন তিন লক্ষ হেক্টর জমিতে সেই চাষ হচ্ছে। বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলাতে ভুট্টা চাষের প্রচুর সম্ভবনা রয়েছে। এখন উত্তরবঙ্গে এই চাষ হচ্ছে। কৃষকরা প্রচুর দাম পাচ্ছেন। তিনি বলেন, পোল্ট্রি মুরগি ও মাছের খাবার বা মানুষের খাদ্য হিসেবে ভুট্টার চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ফ্লেক্স তৈরির কাজে ভুট্টা লাগে। ফলে, প্রচুর স্কোপ রয়েছে। সেটাকেই আমরা কাজে লাগাতে চাইছি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বীরভূম বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪পরগনা ও কোচবিহার জেলাকে নিয়ে একদিনের এই কর্মশালা হবে। সেখানে কৃষি আধিকারিক, বিধায়ক, মন্ত্রী, এমপি, জেলা সভাধিপতি ও চাষিরা উপস্থিত থাকবেন। কর্মশালায় উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ও ছাত্ররা উপস্থিত হবেন, যাঁরা ভুট্টা ছাড়ানোর মেশিন তৈরি কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। সেই সঙ্গে থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। থাকবেন এসআরডিএর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল, ওয়েস্টবেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সম্পাদক সহ বেশ কিছু কৃষি বিজ্ঞানী।
মন্ত্রী জানান, ওয়েস্টবেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশন রাজ্যের উৎপাদিত ভুট্টার বেশিরভাগটাই কিনে নেবেন। এখন শিশুখাদ্যে ভুট্টা ব্যবহারের পাশাপাশি পপকর্ন তৈরির জন্য তা ব্যবহার হয়। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কোনও কৃষিজমি যাতে অকৃষিকাজে ব্যবহৃত না হয়। তাই ভুট্টাচাষের পরিধি যদি বাড়ানো যায় তাহলে চাষহীন জমি পড়ে থাকবে না।
মুরারীবাবু বলেন, দক্ষিণ ভারতে ভুট্টা চাষে পোকা(ফল আর্মি ওয়ার) লেগেছিল। এরাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় সেই পোকার উপদ্রব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু, কৃষি দপ্তরের কর্মীরা উদ্যোগ নেওয়ায় সেটা ঠেকানো গিয়েছে। ওয়ার্কশপে সেই পোকার হাত থেকে বাঁচতে আগাম কী পরিকল্পনা নিতে হবে সেব্যাপারেও চাষি ও ব্লক লেভেলের আধিকারিকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।