বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
কিংবদন্তি ফুটবলার আইএম বিজয়ন বলেন, ‘জীবনের যে কোনও সমস্যায় দ্রুত সমাধান চাইলে মানুষ মাদকে আসক্ত হয়। ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা বাড়ালে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। নতুন প্রজন্মকে বলব, স্বাস্থ্যকর খাবার খাও। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাও। ফিট থাকার দিকে ফোকাস করো। তাহলে ফুটবলে আসক্তি বাড়বে, মাদকে নয়। কোনও সমস্যার সমাধান মাদক হতে পারে না। এর উপর নির্ভর করলে জীবন শেষ হয়ে যাবে। ’
একদা টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির কঠোর অনুশাসনে তৈরি হয়েছেন রেনেডি সিং ও সুব্রত পাল। ভারতের অন্যতম সেরা সেটপিস স্পেশালিস্ট রেনেডি বলছেন, ‘জীবনে কোনও সেটব্যাক হলে ফুটবলই রুপোলি রেখা তৈরি করে। ফুটবলই তৈরি করতে পারে ইতিবাচক মানসিকতা। বাড়াতে পারে মানসিক শক্তি। একইভাবে শারীরিক শক্তিও।’
ভারতীয় ফুটবলের ‘স্পাইডারম্যান’ বলে খ্যাত সুব্রত পাল মনে করেন, ‘ফুটবলে কিক করার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের কিক-অফ শুরু হয়। আমি এই দর্শনেই বিশ্বাস করি। বর্তমান সমাজে তরুণ প্রজন্ম খুবই চাপের মধ্যে থাকে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেকে দৌড়ে রাখতে তাদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এতে হতাশা বাড়তেই পারে। যার ফলে মাদকে আসক্তি বাড়ে। এই সময় বলে কিক করলে মন অনেক তরতাজা হয়ে যায়। খারাপের মধ্যে কিছু ভালোকে খুঁজে নেওয়ার জন্যই ফুটবল। এইজন্যই ফুটবলকে বলে বিউটিফুল প্লে।’
পদ্মশ্রী মহিলা ফুটবলার বেমবেম দেবী বলছেন, ‘অভিভাবকরা স্কুলে যাওয়ার সময় ছেলেদের পকেট খরচ দেয়। আর তাদের অনেকে তা ড্রাগ কিনতে খরচ করে। অভিভাবকদের এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত। ছেলেমেয়েরা যখন বিপথে চলে যায় তখন বাবা-মা’রা জানতে পারেন। অনেক পরিবারকে দেখেছি, এইভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই অভিভাবকদের বলছি, সন্তানদের বেশি করে ফুটবল খেলার জন্য উৎসাহিত করুন।’