উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বুধবার বিকেলে বিসিরায় ক্লাব হাউসের লনে গাড়ি থেকে নেমেই সৌরভ সোজা মাঠে চলে যান। ইডেনের পিচ প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন কিউরেটর সুজন মুখার্জির সঙ্গে। বেশ কিছুক্ষণ দু’জনের আলোচনা চলে। সূত্রের খবর, কোহলিদের জন্য পিচে ঘাস রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মহারাজ। তাতে দু’টি কার্যসিদ্ধ হবে। এক, ভারতীয় দল এখন হোম সিরিজে খেলার অ্যাডভান্টেজ নিতে চাইছে না। দেশের মাটিতে কোহলি বাহিনী সবুজ ও বাউন্সি পিচে খেলতে চাইছেন,যাতে বিদেশে গেলে সমস্যা না হয়। তারই অঙ্গ হিসাবে ইন্দোরেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভারতীয় দল পিচ নিয়ে বিশেষ কোনও আব্দার রাখেনি হোলকার স্টেডিয়ামের কিউরেটরের কাছে। দুই, ইডেনের পিচে বারমুডা ঘাস ব্যবহার করা হচ্ছে বিগত কয়েক বছর ধরে। যাতে পিচের চরিত্র বদল হয়েছে। আগে ক্রিকেটের নন্দনকাননে খুব তাড়াতাড়ি উইকেট আলগা হয়ে যেত। সেক্ষেত্রে বল পড়ে ব্যাটে আসত মন্থর গতিতে। সেই সমস্যা দূর রয়েছে। বেড়েছে বাউন্স ও গতি। শট খেলতেও সমস্যা হচ্ছে না ব্যাটসম্যানদের। তার ফলে ইডেনে আইপিএলের ম্যাচ অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়েছে। সেক্ষেত্রে পিচ থেকে ঘাস অবাধে ছেঁটে ফেলা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তার উপর দিন-রাতের টেস্ট। খেলা হবে এসজি গোলাপি বলে। দুই দলই অতীতে গোলাপি বলে খেলেনি। তাই প্রথমবার ফ্লাড লাইটের আলোয় উভয় দলের ক্রিকেটারদের কিছুটা সমস্যা হতে পারে। গোলাপি বল খুব তাড়াতাড়ি পুরানো হয়ে যায়। ঘাস থাকলে সেই সমস্যা হবে না। বলের দৃশ্যমানতা ভালো থাকবে।
এসজি গোলাপি বল নিয়ে সৌরভ মত, ‘বেশ ভালোই। কোকাবুরা গোলাপি বলের থেকে সিমটা একটু আলাদা। মনে হয় না কোনও সমস্যা হবে। ভালো খেলা দেখার জন্য ইডেনে টেস্ট দেখতে আসবে প্রচুর দর্শক। আশা করছি, সবাই আনন্দ পাবে।’ ইডেনের কিউরেটর সুজন মুখার্জি বললেন, ‘পিচে যতটা ঘাস রাখা দরকার, ততটাই থাকবে। মহারাজ আমার উপরই পুরো ব্যাপারটা ছেড়ে দিয়েছে। ঘুর্ণি ঝড়ের কারণে পিচ তৈরিতে একটু দেরি হয়েছে। তবে এখন দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। গোলাপি বল চেয়েছি। পরীক্ষা করে দেখে নেওয়ার জন্য।’
বুধবার সিএবি’তে বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আদিত্য ভার্মার সাক্ষাৎকার ঘিরে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ, সৌরভের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের নতুন কমিটি লোধা কমিটির প্রস্তাব মেনে তৈরি হওয়া নতুন সংবিধানে ফের পরিবর্তন আনতে চাইছে। যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিসিসিআই। উল্লেখ্য, এই আদিত্য ভার্মাই প্রথম বিসিসিআইয়ের সংবিধান সংশোধনের দাবি জানিয়ে মামলা করেছিলেন। যার জেরেই তৈরি হয়েছিল লোধা কমিটি। আদিত্য ভার্মা অবশ্য বলছেন, ‘বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্বীকৃতির জন্য আমি লড়াই করেছিলাম। সেটা সফল হয়েছে। কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমার লড়াই ছিল না। সিস্টেম পরিবর্তন করতে মামলা করেছিলাম। সেটা হয়েছে। তবে আমি আরও খুশি ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে সৌরভ গাঙ্গুলির মতো একজন এত বড় মাপের ক্রিকেটার বসেছে বলে। সৌরভকে যতদিন সম্ভব দায়িত্বে রাখা উচিত। তাতে দেশের ক্রিকেটই লাভবান হবে। আমার বিশ্বাস, কুলিং অব পিরিয়ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সৌরভদের আবেদনে সাড়া দেবে। আদালতে এর বিরুদ্ধে আমি বিরোধিতা করব না।’