কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, খড়্গপুর লোকাল থানা এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্করবাবু পেশায় ঠিকাদার। বিভিন্ন জায়গায় পেমেন্ট করার জন্য শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ খড়্গপুর এসবিআই শাখা থেকে সাড়ে ন’লক্ষ টাকা তোলেন। এছাড়াও তাঁর কাছে দু’লক্ষ টাকা ছিল। ৫০০টাকার নোট একশো, পঞ্চাশ, কুড়ি ও দশ টাকার নোটে ভাঙানোর প্রয়োজন ছিল। শুভঙ্করবাবুর ভাইয়ের পরিচিত সুভাষ বাগ তাঁকে নোট ভাঙানোর কথা দিয়েছিল। পাঁশকুড়ার কাছে একটি গ্রুপ নোট ভাঙিয়ে দেবে বলে সুভাষ ওই ঠিকাদারকে কথা দিয়েছিল।
শুক্রবার শুভঙ্করবাবু সাড়ে ১১লক্ষ টাকা নিয়ে সুভাষকে গাড়িতে তুলে পাঁশকুড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁরা খাওয়াদাওয়া সারতে কোলাঘাটে পৌঁছে যান। সেখান থেকে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের দিকে যাওয়ার পথে বিগলাবাড়ে একটি গাড়ি থামিয়ে কয়েকজন অপেক্ষা করছিল। তাদের দেখিয়ে সুভাষ গাড়ি থামাতে বলে। ওই লোকজনই ছোট নোট সাপ্লাই দেবে বলে জানায়। শুভঙ্করবাবুর গাড়ি থামানোর পর দাঁড়িয়ে থাকা স্করপিও থেকে নেমে কয়েকজন ওই ঠিকাদারের সাড়ে ১১লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে মেচগ্রামের দিকে গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। শুভঙ্করবাবুর গাড়িও তার পিছু ধাওয়া করে। তখনও ওই ঠিকাদারের গাড়িতে বসে ওই গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড সুভাষ বাগ। ইতিমধ্যে শুভঙ্কর ফোন করে গোটা বিষয়টি পুলিসকে জানান। দুষ্কৃতী দলের গাড়ি মেচগ্রাম থেকে ঘাটালের দিকে ঘুরে যায়। পীতপুরের কাছে দুষ্কৃতীরা গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার দু’দিকে গ্রামের মধ্যে ছুটে পালানোর চেষ্টা করে। স্থানীয় একটি আদিবাসী পাড়ার লোকজন তিনজনকে ধরে ফেলেন। দুই মেদিনীপুরের সীমানা খুকুড়দহ এলাকায় পুলিস দুষ্কৃতীদের গাড়িটিকে ধরে ফেলে। কিন্তু চালক ছাড়া দ্বিতীয় কেউ ছিল না। পীতপুর এলাকা থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাঁচ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, সাত-আটজনের একটা গ্যাং ডাকাতির জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। ধৃত সুভাষ বাগকে এই অপারেশনের শামিল করেছিল ওই গ্যাং। সকাল সাড়ে ৯টায় ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা কোলাঘাটের হলদিয়া মোড়ে পৌঁছে যায়। তারপর পরিকল্পনা অনুযায়ী দিগলাবাড়ের কাছে জাতীয় সড়কে অপারেশন চালানো হয়। সাড়ে ১১লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছে বলে পাঁশকুড়া থানার আইসি সমীর দে জানান। ওই ঘটনায় আপাতত পাঁচজন পুলিস হেফাজতে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ডাকাতি হওয়া সাড়ে ছ’লক্ষ টাকার খোঁজ চলছে। তবে, অভিযোগকারীর বয়ান নিয়েও পুলিসের মধ্যে ধন্দ তৈরি হয়েছে। তাকেও ডেকে জেরা করা হবে।