কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
রানাঘাট মহকুমা এলাকায় মূলত চাঁপা, মর্তমান এবং কাঁচকলার চাষ বেশি হয়। কলার কাঁদি কাটার পর সেগুলি বগুলা, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট-১ বিডিও অফিসের কাছে, রানাঘাট স্টেশনের কাছে, তাহেরপুর এবং বীরনগরের আড়তে পৌঁছয়। এরপর সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা লরি বোঝাই করে কলকাতা, উত্তরবঙ্গ, বিহারে কলা নিয়ে যান। হাঁসখালি ব্লকের তারকনগর, পাখিওরা, রামনগর, উমারপুর এলাকায় প্রচুর কলার চাষ হয়। রানাঘাট-১ ব্লকের হবিবপুর, কামগাছি, দোগাছিতেও হয় প্রচুর পরিমাণে কলার চাষ হয়। তারকনগর এলাকার এক কলা চাষি উত্তম মণ্ডল বলেন, আমার দশ বিঘা জমিতে মর্তমান কলা লাগানো ছিল। ঝড়ের দাপটে জমির সব কলাগাছ নুইয়ে পড়েছে। আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। কী করব কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। একই অবস্থা হাঁসখালি ব্লকের নাসিরউদ্দিন মণ্ডল, গোপেশ বিশ্বাস, সুধীর সরকার, রানাঘাট-১ ব্লকের সরোজ রায়, তাপস রায়, হৃষিকেশ সরকারের মতো চাষিদের। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) রঞ্জন রায়চৌধুরী বলেন, চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে।
ঝড়ের দাপটে তেহট্টে বিঘার পর বিঘা জমির কলাগাছ ভেঙে গিয়েছে। এই মহকুমায় প্রচুর কলা চাষ হয়। পাট, পটল, শসা সহ সব্জি চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষের জমিতে প্রচুর বড় গাছ ভেঙে পড়ায় চাষিদের মাথায় হাত। বেতাইয়ের কলা চাষি প্রবোধ বিশ্বাস বলেন, লকডাউনের জেরে বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে না পারায় এমনিতে বাজারে চাহিদা কম থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। তার উপর বাগানের উপর মই চালিয়ে দিল এই ঝড়। আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সাহায্য করলে ভালো হয়। তেহট্টের মহকুমাশাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক করছি। রাজ্য থেকে নির্দেশ পেলে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।