পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার আশরফপুরে এলাকায়। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত যুবক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রসেনজিতের বাড়ি আশরফপুরে। সে কয়েক মাস ধরে গ্রামের দিনমজুর কমল সরকারের কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করছিল বলে অভিযোগ। মাঝে মধ্যে ফোনে হুমকিও দিত সে। শনিবার দুপুরে কমল বাড়ির পাশে ভুট্টা শুকোনোর কাজ করছিলেন। সেই সময় প্রসেনজিৎ আবার টাকার দাবিতে তাঁকে হুমকি দেয়। কিন্তু কমল টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রসেনজিৎ রেগে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সে হাঁসুয়া নিয়ে এসে কমলের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় দাদা কমলকে বাঁচাতে গেলে প্রসেনজিতের হাঁসুয়ার কোপ পড়ে ভাই সমরের হাতে।
স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রসেনজিতের হাত থেকে হাঁসুয়া ছিনিয়ে নেন। এরপর অভিযুক্ত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সমরকে উদ্ধার করে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রায়গঞ্জ মেডিক্যালে পাঠান চিকিৎসক। সমরের হাতে ১৮ টি সেলাই পড়েছে। কমল বলেন, প্রসেনজিত্ আজকে আমাদের মেরেই ফেলত। তার বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। ওর কাছ থেকে কোনওদিন এক টাকাও ধার নিইনি। কীসের টাকা বারবার ফেরত চাইছে বুঝতে পারছি না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিস।