পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
মালদহের আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা তপনকুমার দাস বলেন, জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এটি মোটামুটি স্বাভাবিক বলা চলে। কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ২৪ ডিগ্রির পরিবর্তে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রয়েছে। ফলে অস্বস্তি হচ্ছে।
একই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। রাতের দিকে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রবল ঘাম হচ্ছে। অস্বস্তি বাড়ছে।
তপনবাবু বলেন, রেমালের প্রভাবে গরম থেকে সাময়িক মুক্তি মিললেও অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যাবে বর্ষা এলে। ৭ জুন থেকে মালদহে বর্ষা আসতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া বিভাগ।
এদিকে প্রবল গরমে বিক্রি বেড়েছে তালশাঁসের। ১০ টাকায় তিনটি করে তালশাঁস বিক্রি হচ্ছে। ইংলিশবাজারের বাসিন্দা প্রভাত চৌধুরী বলেন, নতুন করে এই গরম অসহ্য। ঘামে জামাকাপড় ভিজে যাচ্ছে। তালশাঁস খেলে পেট খানিকটা ঠাণ্ডা থাকে। তাই অনেকের মতো আমিও কিনছি।
লস্যি ও ঠাণ্ডা পানীয়ের দোকানেও দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন। ফলে খুশি বিক্রেতারাও। এক শরবত বিক্রেতা বলেন, মাঝখানে গরম খানিকটা কম থাকায় বিক্রি কিছুটা কম ছিল। কিন্তু হঠাত্ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় আবারও বিক্রি বেড়েছে। লাভও হচ্ছে। গরমে বিক্রি বেড়েছে ডাবেরও।
রেমালের প্রভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামী ২৭ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে বালুরঘাট মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে। এই তিন দিনে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের তরফে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলাকে সতর্ক করা হয়েছে। বৃষ্টিতে কোনওভাবে জেলায় বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য কুইক রেসপন্স টিমকে সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শনিবার তীব্র গরম অনুভূত হয়। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮২-৮৭%। সোমবার থেকে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে।
মাঝিয়ান কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, আগামী তিনদিন ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হবে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বৃষ্টি ও বর্ষা নিয়ে প্রশাসন সবরকমভাবে প্রস্তুত রয়েছে।