বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনাচিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এই দৈনিক বাজারটি বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগবন্ধুটোলায় অবস্থিত। স্থানীয় বাসিন্দারাই জানিয়েছেন, আগে প্রতিদিন নয়, প্রতি বুধবার বিকেলে হাট বসত। সেই থেকেই নাম হয়েছে বুধবারি বাজার। এখন অবশ্য প্রতিদিন সকালেই বাজার বসে। তবে অতীত রেওয়াজ মেনে আজও বুধবার বিকেলে বাজার বসে। এখানে নানা ধরনের দ্রব্য কেনাবেচা হয়। শাকসব্জি, মাছ, মাংস বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে খুচরো ও পাইকারি মুদিখানার দোকানও বসে। ফুলহর ও গঙ্গা নদীর তাজা মাছ কিনতে এই বাজারে ভালুকা, দেবীপুর ও রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও ভিড় করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকার মানুষকে দৈনন্দিন প্রয়োজনে বাজারে যেতে হয়। কিন্তু বাজারে যাওয়া মানেই দুর্ভোগের শিকার হওয়া। বাজারে জল নিকাশির কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বাজার চত্বরে জল জমে যায়। স্থায়ী কাঠামোযুক্ত যেসব দোকানপাট রয়েছে, সেগুলির পরিকাঠামোও দীর্ঘদিনের পুরনো। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেসব দোকানগুলির জরাজীর্ণ অবস্থা। এছাড়া টালি, ত্রিপলের ছাউনি দিয়ে অস্থায়ীভাবে কিছু দোকানপাট বসে। যেখানে সেখানে ঝুপড়ি ধরনের দোকানপাট গজিয়ে ওঠায় বাজার চত্বর ঘিঞ্জি হয়ে পড়েছে। বাজারে শৌচালয়ের অবস্থাও ভালো না। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও।
ব্যবসায়ীদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই বাজারটি এক ব্যক্তির মালিকানাধীন জমিতে অবস্থিত। বাজারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সেই ব্যক্তিরই। হাটখোলার দৈনিক বাজারের মালিক অশোকলাল যাদব আসারি বলেন, বিভিন্ন দ্রব্যের প্রায় ৬০টি দোকান আছে এই দৈনিক বাজারে। কিছু দোকানপাটের স্থায়ী পরিকাঠামো রয়েছে। বাকি দোকানগুলি অস্থায়ীভাবেই বসে। বাজারের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করাই যায়। কিন্তু কাছেই রয়েছে ফুলহর ও গঙ্গা নদী। ওই দুই নদীর ভাঙনের জন্যই কিছু করার সাহস হয় না। কখন গোটা এলাকাই নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এই আশঙ্কায় থাকি আমরা সব সময়। এছাড়া বাজারের পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে গেলে সরকারি সহায়তাও প্রয়োজন।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকার কেনাবেচা হয় এই বাজারে। বাজার প্রসঙ্গে বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লুৎফর রহমান বলেন, দৈনিক বাজারের জায়গাটি সরকারি না। তাই এক্ষেত্রে কিছু করা পঞ্চায়েতের পক্ষে সম্ভব নয়। যদি জায়গার মালিক চান তবে অবশ্য সেখানে শৌচালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া যেতে পারে।