শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
ব্লক অফিস ও পঞ্চায়েত অমিতির অফিস একসঙ্গে থাকার সুবাদে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ওই চত্বরে প্রতিদিনই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই থাকত। তাই আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে খোঁজখবর শুরু করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই চত্বরের অফিসকর্মী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিক সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের প্রত্যেকেরই সোয়াব টেস্ট করা হবে। এদিকে ব্লকের কাজ স্বাভাবিক রাখার জন্য নতুন বিডিওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে মালদহ সদরের মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানো বলেন, ব্লকে এদিন নয়জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের সোয়াব টেস্ট করা হবে। ব্লক অফিসের কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলা থেকে নতুন বিডিও, শেরিং ভুটিয়া দায়িত্ব নিয়েছেন।
মালদহের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ব্লকের করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আক্রান্তরাই এবিষয়ে সুস্পষ্টভাবে বলতে পারবেন যে তাঁরা কাদের সঙ্গে মিশেছেন। সেই অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে আমরা সোয়াব পরীক্ষার ব্যবস্থা করব।
পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের হারেজ আলি বলেন, ব্লক অফিস থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এদিন নতুন করে সভাপতি সহ অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। চারদিক থেকে সবাই সোয়াব পরীক্ষার জন্য ফোন করছে। বিষয়টি নিয়ে একেবারে দিশাহীন হয়ে গিয়েছি। যে সমস্ত জনপ্রতিনিধি প্রতিদিন কাজের জন্য ওই অফিস চত্বরে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের পরীক্ষা করানো উচিত।
তৃণমূলের ব্লক কনভেনার জওহর ঘোষ বলেন, সেখানে একশোর বেশি জনপ্রতিনিধির নিয়মিত যাতায়াত ছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সোয়াব পরীক্ষা করাননি। এই মুহূর্তে যদি সঠিকভাবে পরীক্ষা না করা হয়, তাহলে ব্লকে করোনা সাঙ্ঘাতিক রূপ দেবে।
মোট ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে পুরাতন মালদহ ব্লকে। সব মিলিয়ে ৯৭ জন পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কখনও না কখনও ওই অফিস চত্বরে যাতায়াত করেছেন। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন এবং দুইজন জেলা পরিষদ সদস্য প্রতিদিনই কোনও না কোন কাজে সেই এলাকায় এসেছিলেন। জেলা পরিষদের এক সদস্য তো এর মধ্যেই করোনায় আক্রন্ত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণ পঞ্চায়েত এলাকায় ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।