কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
এদিন সাংবাদিকদের মোস্তাক আলম বলেন, এই জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারের পরিচালনায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে আমরা মনে করছি। যেখানে রাহুল গান্ধীর সভার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি সেই সামসি কলেজ মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচনী সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়াও রাহুল গান্ধীর হেলিপ্যাড তৈরির ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রীদের অনায়াসে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা মনে করছি এই প্রশাসন রাজ্যের শাসকদলের হয়ে কাজ করছে।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, কংগ্রেস কর্মীদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ ধারায় অযথা হেনস্থা করছে পুলিস। দুষ্কৃতীরা গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাচ্ছে। বলছে পুলিস তাদের কিছু করবে না। তাই আমরা মনে করি পুলিসও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।
অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এই দাবি করা হয়েছে বলে জানান মালদহের কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও এই দাবি করা হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন মোস্তাক আলম।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, আমরা মনে করি এই জেলাশাসক এবং পুলিস সুপারের নেতৃত্বে মালদহে নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন হবে না। তাই আমরাও প্রায় ১৫ দিন আগে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে লিখিতভাবে দুইজনকেই সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছি।
তবে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেনি বিজেপি। জেলা বিজেপি সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, আমরাও পৃথকভাবে চিঠি পাঠিয়েছি নির্বাচন কমিশনে। তবে আমরা শুধু পুলিস সুপারকে সরানোর দাবি তুলেছি।
তবে রাজনৈতিক দলগুলির এই অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান নি জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক কৌশিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এবিষয়ে কিছু বলব না। নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। মন্তব্য করতে চাননি পুলিস সুপার অর্ণব ঘোষও। তিনি বলেন, এগুলি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। সুতরাং এনিয়ে আমি কিছু বলব না।