কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৪৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪২৫ জনের। সুস্থ হয়েছে উঠেছেন ১৫ হাজার ৩৫০ জন। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬০.৮৫ শতাংশ। মৃত্যুহার কমে দাঁড়িয়েছে ২.৮২ শতাংশ। এই নিয়ে টানা চার দিন আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াল। তবে গতকালের তুলনায় এদিন সংখ্যাটা কিছুটা কমেছে। আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী এদিনই ভারতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১ কোটি ৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
এদিকে, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এদিন সকালে রাজধানীতে ৯৯ হাজার ৪৪৪ জন সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। দিল্লির প্রায় ২৫ হাজার সক্রিয় করোনা রোগীর মধ্যে ১৫ হাজার মানুষের চিকিৎসা বাড়িতেই চলছে। কমছে মৃত্যুর হারও। করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর। সরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসিইউর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে। এরপরেই করোনাজয়ীদের আরও বেশি করে প্লাজমাদানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী কথায়, দেশের মধ্যে আমরাই প্রথম করোনা প্লাজমা ব্যাঙ্ক চালু করেছি। ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের প্লাজমা থেরাপিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে প্লাজমাদানকারীদের সংখ্যা অত্যন্ত কম।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিনে অসমেও করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। গত ১০ দিনে গুয়াহাটিতে ২,৭০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রথমবার গুয়াহাটিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর কথায়, গুয়াহাটি মহামারির পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এই সংক্রমণ আরও বাড়বে। পরিস্থিতি খারাপ হবে। তবে আগামী বুধবার থেকে সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমতে পারে বলে আশাবাদী তিনি। গত ২৯ জুন থেকে গুয়াহাটিতে ১৪ দিনের কড়া লকডাউন চালু করেছে অসম সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুরু হয়েছে রাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।