পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ
শুক্রবার পুনের পুলিস কমিশনার অমিতেশ কুমার জানান, দুর্ঘটনার পর এবং থানায় কী কী ঘটেছিল, সেই বিষয়টি তাঁদের নজরে এসেছে। চালক কেন দুর্ঘটনার দায় নিতে চেয়েছিলেন, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, দুর্ঘটনার পর গাড়ির চালক আসন বদল করলেও ওই নাবালকই যে স্টিয়ারিংয়ের সামনে ছিল, তা প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত তথ্য তাঁদের কাছে আছে।
এখানেই উঠে আসছে আরও একটি নয়া তথ্য। পুলিস সূত্রের খবর, গাড়িচালককে বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে দুর্ঘটনার দায় নিজের কাঁধে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিল কিশোরের বাবা-মা। তাঁদের সঙ্গে ফোনে গাড়িচালকের কথাও হয়। পুলিস কমিশনার জানান, শুধুমাত্র ওই নাবালকের রক্তের নমুনাই তাঁদের কাছে রয়েছে, এমনটা নয়। মদ খেয়ে গাড়ি চালানো আইনত অপরাধ জেনেও ওই কিশোর পিছপা হননি। তার সঙ্গে যে বন্ধুরা ছিল, তারাও এই বিষয়টি জানতেন। কাজেই ওইদিন রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তার প্রামাণ্য তথ্য যে পুলিসের কাছে আছে সেটাই এদিন তুলে ধরেন পুলিস কমিশনার।
যদিও ঠিক কখন নাবালকের রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, গত রবিবার রাত ২টো ১৫ নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নাবালক ও তার দুই বন্ধুকে ঘটনাস্থলেই ধরে ফেলে এলাকাবাসী। নিয়ম বলছে, থানায় নিয়ে যাওয়ার পর অবিলম্বে অভিযুক্তের রক্তপরীক্ষা করা উচিত। কিন্তু দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে কিশোরকে ইয়েরওয়াড়া জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনও রক্তপরীক্ষা করানো হয়নি। কারণ সেই সময় থানাতেই পিৎজা, বার্গার খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে। তারও বহু ঘণ্টার পর ওই কিশোরের রক্তপরীক্ষা হয়। এদিকে গাড়িচালককে টাকা দিয়ে দুর্ঘটনার দায় কাঁধে নেওয়ার যে তত্ত্ব সামনে এসেছে, সে এব্যাপারে শুক্রবারই অভিযুক্ত কিশোরের দাদুকে ডেকে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস।