কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
কিন্তু কোনও অবস্থাতেই পিছু হটার পক্ষে ছিল না কেন্দ্র। উল্টে গোটা উপত্যকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়। তা সত্বেও গত দেড়-দু’মাসে নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। প্রায় রোজই রক্ত ঝরছে। জঙ্গিরা কৌশল বদলে বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের নিধন করছে। ইদানীং আবার শ্রমিকদের উপরও হামলা চালিয়ে ‘খতমের লাইন’ নিয়েছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। শুধু চলতি মাসেই ১১ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে জঙ্গি হামলায়। তার উপর সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়েই চলেছে ইসলামাবাদ। বারবার বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করছে পাক বাহিনী। সবমিলিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্গঠনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত এখন প্রশ্নের মুখে। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। সেই চাপ সামলাতেই কি রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রশ্নে খানিক নমনীয় মনোভাব নিলেন শাহ? এমন কথাও উঠছে বিরোধী শিবিরে। তবে এখনই মচকালেও ভাঙছেন না তিনি। পুনর্বিবেচনার ভার ডিলিমিটেশন ও নির্বাচনের উপরই ছেড়ে রাখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিন শাহের সফর ঘিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা কাশ্মীরকে। শ্রীনগর বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন লেফটেনেন্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। শাহকে ঘিরে সর্বদা পাহারা দিয়েছে ত্রিস্তরীয় বাহিনী। রাজভবনে পিঁপড়ে গলার জো ছিল না। সূত্রের খবর, বৈঠকে ভূস্বর্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেনা ও পুলিসের আধিকারিকদের থেকে খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনাও করেন তিনি। কোথায় কীভাবে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন উপস্থিত সেনাকর্তারা। একইসঙ্গে জঙ্গি হামলায় শহিদ পুলিস অফিসার পারভেজ আহমেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন শাহ। পারভেজের স্ত্রী ফতিমা আখতারের হাতে সরকারি কাজের নিয়োগ পত্রও তুলে দেন তিনি। ফতিমাদের আশ্বস্ত করে শাহ বলেন, ‘পারভেজের আত্মত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গোটা দেশ আপনাদের পাশে রয়েছে।’ পারভেজ আহমেদের বাড়িতে অমিত শাহ। -পিটিআই