কর্মের প্রসার ও উন্নতি হবে। ব্যবসায়ীদের দিনটি অনুকূল। অর্থকড়ি প্রাপ্তি যোগ শুভ। অর্থ সঞ্চয় বাড়বে ... বিশদ
প্রতিশ্রুতি তো হল। কিন্তু ভোটে সমর্থন? সেটি নিশ্চিত করতে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যেমন লখনউ-দিল্লি কার্যত ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছেন, একইভাবে নেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মসূচিও। ‘প্রতিজ্ঞা যাত্রা’ তারই অঙ্গ। এই কর্মসূচিতে দলের নেতানেত্রীরা আগামী ১০ দিন উত্তরপ্রদেশের কোণে কোণে ঘুরবেন। প্রচার করবেন।
প্রতিশ্রুতি হোক বা প্রতিজ্ঞা, ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস যে কথা রাখে, তার উল্লেখ করে প্রিয়াঙ্কা এদিন উপস্থিত জনতাকে মনে করিয়ে দেন, কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ৭২ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ মকুব করেছিল। একইভাবে ছত্তিশগড়ে শুরু হয়েছে ন্যূনতম আয় বা ‘ন্যায়’ প্রকল্প। তাই কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি রাখে বলেই দাবি করেছেন প্রিয়াঙ্কা। আর এই প্রতিজ্ঞার পালে হাওয়া লাগিয়েই উত্তরপ্রদেশের কুর্সি দখলের স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস।
প্রিয়াঙ্কা যেমন কংগ্রেসকে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আনতে ময়দানে নেমেছেন, একইভাবে আগামী বছর পাঁচ রাজ্যের ভোট, ৫ টাকার মূল্যে দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান, ১৪ নভেম্বর থেকে দেশজুড়ে মোদি সরকার বিরোধী আন্দোলন কর্মসূচির রূপরেখা তৈরিতে সক্রিয় হচ্ছেন সোনিয়া গান্ধীও।
আগামী মঙ্গলবার ২৬ তারিখ তিনি দলের বৈঠক ডেকেছেন। এআইসিসির ইনচার্জ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের নিয়ে ২৪ আকবর রোডে ওই বৈঠক হবে। যদিও উত্তরপ্রদেশে একা কি বিজেপিকে হারাতে পারবে কংগ্রেস? নাকি সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট হবে? শুক্রবার দিল্লি-লখনউ বিমানে প্রিয়াঙ্কা-অখিলেশ মুখোমুখি হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে এই প্রশ্ন।