কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
বিজয়ওয়াড়ার কোভিড সেন্টারটি আদতে একটি হোটেল। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকার জেরে প্রশাসন স্থানীয় স্টার হোটেলটিকে কোভিড সেন্টার হিসেবে চালানোর অনুমতি দেয়। সরকারি সূত্রের খবর, রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ সেন্টারের লবিতে আগুন ধরে যায়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ ধোঁয়া দেখতে পেয়ে প্রাণভয়ে দিশাহারা রোগীরা ছোটাছুটি শুরু করে। কিন্তু বাইরে যাওয়ার একটি গেটই সেই সময় খোলা ছিল বলে অভিযোগ। ফলে কোনও উপায় না দেখে সকলে হুড়োহুড়ি করে বেরোতে যায়। বেরতে না পেরে ১১ জন দগ্ধ হয়ে মারা যান।
ঘটনার খবর পেয়েই দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী আসে। আটকে পড়া স্বাস্থ্যকর্মী ও আহত রোগীদের অনেককে বের করে আনা হয়। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, শর্ট শার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। যদিও এক্ষেত্রে পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফায়ার সেফটি ডিরেক্টর জয়রাম নায়েক। যে হোটেলটিকে কোভিড সেন্টার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তারা সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘন করেছে বলেও অভিযোগ তাঁর। ক্ষোভের সুরে জয়রাম বলেন, ‘আগুন লাগার সময় অ্যালার্ম বেল বাজেনি। তাছাড়া পেছনের গেট খুলতেও অনেক দেরি হয়েছিল।’ ওই গেটটি সময়মতো খুললে মর্মান্তিক বিপর্যয় হয়তো এড়ানো যেত। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি দুর্ঘটনা বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারপিছু ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশে থাকার বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘বিজয়ওয়াড়ার কোভিড সেন্টারের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি ব্যথিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’ রোগীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।