শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
ভারতের দু’টি সেক্টর চীনের টার্গেট। তাওয়াং এবং ওয়ালং। গত ১৫ দিনে দু’বার লালফৌজের পেট্রল পার্টি ভারতের ওল্ড খিঞ্জেমানে পোস্টের কাছে টহল দিয়ে গিয়েছে। এই পোস্ট দিয়েই ১৯৫৯ সালে লাসা থেকে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন দলাই লামা। আর ফেরেননি। অন্যদিকে, লাদাখে দু’পক্ষের মুখোমুখি সমরসজ্জার মধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লে ও লাদাখের ফরওয়ার্ড বেসে যাবেন শুক্রবার। রাজনাথের সঙ্গে থাকবেন সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে।
ভারতের পূর্বতম প্রান্ত হিসেবে পরিচিত অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত পোস্ট এলাকায় নিয়ম করে চীনের সেনা মোতায়েন করা চলছে। গোয়েন্দা বার্তায় ভারত জানতে পেয়েছে, সাং পো নদীতে চীনের টহলদারি বোট সক্রিয় হয়েছে। এই সতর্কবার্তা পেয়েই ভারতীয় সেনা অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে পাল্টা কৌশল নিয়েছে। এমন কয়েকটি সেক্টরে বিপুল সংখ্যায় ভারতীয় সেনাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাতে চীন বিভ্রান্ত হয়ে যায় দিল্লির উদ্দেশ্য নিয়ে। কারণ, যে সেক্টরগুলি নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই ভারত সেখানেও সেনা সমাবেশ ঘটাতে শুরু করেছে চীনকে উদ্বেগে রাখার জন্য। অন্যদিকে, মায়ানমার ও ভুটানের সঙ্গেও চীনের বিরোধ দেখা দিয়েছে। মায়ানমার সরকার প্রমাণ পেয়েছে চীনের থেকে মদত ও সহায়তা পাচ্ছে দুর্ধর্ষ জঙ্গি গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মায়ানমার ভারতকে জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সেখানে জঙ্গি ও গেরিলা প্রশিক্ষণ শুরু করেছে বেজিং। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ তো বটেই, আরাকান আর্মিকে দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্ব প্রান্তেও অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্যোগ চলছে। পাশাপাশি ভুটানের একটি নির্মাণ প্রকল্পও চীন আটকে দিয়ে বলেছে, ওই জমি তাদের। যা নিয়ে ভুটান তীব্র আপত্তি করেছে।
তবে বাণিজ্যিকভাবে চীনকে যেভাবে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত, সেই কারণে চীন প্রবল ক্ষুব্ধ। ভারত শুধুই ৫৯টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। বুধবার কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গাদকারি বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে কোনও চীনের সংস্থা যাতে লগ্নি করতে না পারে, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। তবে বেজিং সবথেকে বড় ধাক্কা খেতে চলেছে ফাইভ জি নিয়ে। চীনের ফাইভ জি উপকরণ ব্যবহার বাতিল করা হতে পারে ভারতে। যা বড় ধাক্কা দেবে চীনকে।
লে’র আকাশে চিনুক হেলিকপ্টার নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার নজরদারি। পিটিআইয়ের তোলা ছবি।