শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে জাকিরদের সঙ্গে মেহতাবের সম্পর্ক ছিল। জাকিরদের পরিবারের আস্থাভাজন ছিল মেহতাব। ২০১৪ সালে জাকিরের বোনকে ধর্ষণ করে সে। এর কয়েকদিনের মধ্যে জাকিরের নাবালক বোন আত্মহত্যা করে। আহমেদ নগর থানায় মেহতাবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। ধর্ষণে অভিযুক্ত মেহতাব সেই থেকে তিহার জেলে রয়েছে। কিন্তু বোনের উপর অত্যাচারের বদলা নিতে মেহতাবকে খুনের পরিকল্পনা শুরু করে জাকির। তিহার জেলে ঢোকার জন্য ২০১৮ সালে একজনকে খুন করে সে। তবে ২০ বছরের কম বয়স হওয়ায় এতদিন তিহার জেলের অন্য শাখায় ছিল জাকির। ২১ বছর পার করার পর জাকিরকে মেহতাবের সেকশনে আনা হয়। তবে একই ওয়ার্ড না হওয়ায় মেহতাবের সঙ্গে কিছুতেই মোলাকাত হচ্ছিল না। সুযোগ খুঁজতে জেলের ভিতর মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে জাকির। এরপর তাকে মেহতাবের ওয়ার্ডেই রাখা হয়।
জেলের একটা সূত্র জানিয়েছে, মেহতাবের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আসার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল জাকির। গত দু’তিন দিন ওয়ার্ডের গতিবিধি দেখে নেওয়ার পর মেহতাবকে খুনের চূড়ান্ত পরিকল্পনা ছকে নেয় জাকির। ডিসিপি (পশ্চিম) দীপক পুরোহিত জানিয়েছেন, ২৯ জুন সকাল ছ’টার সময় সবাই যখন প্রার্থনায় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল, তখন মেহতাবের সেলে চলে যায় জাকির। সে সময় ওই সেলে আর কেউ ছিল না। জাকিরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় মেহতাবের।