সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি: কোনও জ্বর আসেনি। ছিল না কাশিও। সর্বক্ষণ থাকতেন বাড়িতে। তবুও আচমকাই বিমলাদেবী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ডাক্তাররা চিন্তিত হলেও এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ‘এইমস’। ১৮ দিন হাসপাতালে থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত শঙ্করদয়াল শর্মার স্ত্রী বিমলা শর্মা। এখনও পর্যন্ত দিল্লির প্রবীণতম করোনা-যুদ্ধে জয়ী। ৯৩ বছর বয়সেও করোনাকে কাবু করায় খুশির হাওয়া ২৩ সফদরজং রোডের বাংলোয়। নয়াদিল্লির এই বাড়িতেই থাকেন প্রাক্তন ‘ফার্স্ট লেডি’। সন্তানরা থাকেন অন্যত্র। সপ্তাহান্তে সাক্ষাৎ। এমত পরিস্থিতিতে আচমকাই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় বিমলাদেবীর। বাড়িতে মজুত অক্সিমিটারে অক্সিজেনের মাত্রা মাপেন নিত্য দেখভাল করা নার্স। পরীক্ষা হয় করোনার। পজিটিভ হতেই সোজা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)। সেখানেই কেন্দ্রের কোভিড প্রোটোকল মেনে চলে চিকিৎসা। ভেন্টিলেশনে না থেকেও ধীরে ধীরে সুস্থ হন বিমলাদেবী। বিমলাদেবীর বড় ছেলে আশুতোষ শর্মা জানান, ‘হৃদপিণ্ডের সমস্যা ছাড়া মায়ের সেরকম কোনও রোগ নেই। বয়সের কারণে বাইরেও যান না। তাও আচমকা করোনা পজিটিভ হওয়ায় ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কোথা থেকে সংক্রমণ হল, বোঝা গেল না। তবে শেষমেশ মা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় এইমসের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
অন্যদিকে, করোনায় যাদের অবস্থা সঙ্কটজনক, সেইসব রোগীর জন্য স্টেরয়েডযুক্ত নতুন দাওয়াই চিকিৎসা প্রোটোকলে যুক্ত করল কেন্দ্র। শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক সরকারিভাবে জানিয়েছে, ‘ডেক্সামেথাসোন’ ভালো কাজ করছে। হাঁপানি, আর্থারাইটিসের মতো রোগে এই ওষুধ চিকিৎসকরা প্রেসক্রাইব করলেও মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভেন্টিলেটরে থাকা করোনা রোগীর ক্ষেত্রে স্টেরয়েডযুক্ত এই ওষুধ মৃত্যুর সম্ভাবনাকে এক-তৃতীয়াংশ কমাচ্ছে।