গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত দেশজুড়ে যে আয়কর আদায় হয়েছে, তার অবস্থা দেখে চক্ষু চড়কগাছ দপ্তরের কর্তাদের। তাঁরা বলছেন, গত নভেম্বর পর্যন্ত এতটা খারাপ হাল ছিল না। গত আর্থিক বছরের তুলনায় আয়কর আদায় খুব একটা বাড়েনি তখনও পর্যন্ত। কিন্তু তা ঋণাত্মক হয়ে যায়নি। কিন্তু জানুয়ারির গোড়ায় সেটাই হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, গত আর্থিক বছরের তুলনায় আয়কর আদায় বৃদ্ধি ছ’শতাংশ কমে গিয়েছে। এমনকী এরাজ্যের আয়কর আদায় বৃদ্ধির হারও দু’মাস আগে সাত শতাংশের বেশি ছিল। কিন্তু এখন সেটিও ঋণাত্মক হয়ে গিয়েছে।
গত বছর গোটা দেশ থেকে আয়কর আদায় হয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এবার তার উপর নির্ভর করেই ১৩ লক্ষ ৩৮ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। দপ্তরের কর্তারা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো দূরে থাক, গতবারের আদায়ের অঙ্ককে স্পর্শ করাই এখন সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাহলে উপায়? আধিকারিকদের কথায়, এক্ষেত্রে আয়কর হানাই একমাত্র সহজ পন্থা।
কিন্তু এরাজ্যেও কি সেই উপায় অবলম্বন করা হবে? আধিকারিকদের একাংশ বলছে, এই বিষয়ে এখনও দিল্লি থেকে কোনও নির্দেশ আসেনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নিজেই শহরে এসে দপ্তরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন, আয়কর আদায়ের নামে কোনও করদাতাকে হেনস্তা করা যাবে না। তাতে কিছুটা দমে গিয়েছে দপ্তর। অন্যান্যবার যেখানে ঘনঘন ‘সার্চ’ এবং ‘সার্ভে’ হতো, এবার তাতে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে সেই কাজ কতদিন বন্ধ রাখা যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দপ্তরের কর্তাদের। কারণ, আয়কর আদায় নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত চাপে আছেন। সেকথা জানাতে দ্বিধাবোধ করছেন না। কর্তাদের বক্তব্য, গত আর্থিক বছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত এরাজ্যে ইনভেস্টিগেশন বিভাগ থেকে আদায় হয়েছিল ২ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত সেই আদায় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও আদায় অনেকটাই ঘাটতিতে চলছে। দপ্তর যদি এরাজ্য থেকে সার্বিক ঘাটতি পূরণ করতে চায়, তাহলে এই বিভাগে, অর্থাৎ আয়কর হানা বা তল্লাশি থেকে টাকা আদায়ের উপর জোর দিতে হবে। এখন কেন্দ্রীয় সরকার কোন পথে চলবে, সেই নির্দেশের উপরই নজর রাখছেন তাঁরা। আগামী সপ্তাহে আয়কর কর্তাদের আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে শহরে আসছেন সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস-এর চেয়ারম্যান। তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকেই আপাতত নজর আয়কর কর্তাদের।